বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার বেলা ১১টার দিকে তিনি সভামঞ্চে পৌঁছান।
এরআগে সকাল ৯টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের এ শোকরানা মাহফিল শুরু হয়। এই মাহফিলে
কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে (তাকমিল) সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ সংবর্ধনা দেবেন এ সংশ্লিষ্ট কওমী আলেমরা। এতে সভাপতিত্ব করছেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
শুকরানা মাহফিলকে উদ্দেশ্য করে আলেমদের সমাগমে এক প্রকার জনসমুদ্রে পরিণত হয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। সারা দেশের ১০ লক্ষাধিক আলেমের সমাগমের জন্য প্রস্তুত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মঞ্চ ও প্যান্ডেল।
সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশে ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মৎসভবন থেকে সেগুনবাগিচা এলাকা, কদম ফোয়ারা-প্রেসক্লাব হয়ে পল্টন জিরো পয়েন্টেও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট মোড়, টিএসসি চত্বর, শাহবাগ, রমনা পার্কের গেটসহ আশেপাশের এলাকায় ব্যাপক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
একই সাথে এসব স্থানে রায়টকার, এপিসি কার মোতায়েন রাখা হয়েছে। যানজটসহ যেকোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে উদ্যান ও তার আশেপাশের এলাকাগুলোর সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের পাশাপাশি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একাধিক টিম রয়েছে নিরাপত্তার কাজে। র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শুকরানা মাহফিলে আরো উপস্থিত রয়েছেন জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ, মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল্লাহ কাসেমী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল উলামার মহাসচিব মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমী, অভিভাবক পরিষদ সদস্য মাওলানা আইয়ুব আনসারী, ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সদরুদ্দীন মাকনুন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা মাসউদুল কাদির প্রমুখ। সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী আছে।
অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
‘কওমী জননী’ শেখ হাসিনা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘কওমী জননী’ ঘোষণা করেছেন আল হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়্যাহ বাংলাদেশের সদস্য, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) সাবেক মহাসচিব ও গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা মাদরাসার মহাপরিচালক মুফতি রুহুল আমিন।
আজ রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কওমী ওলামাদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয়া হয়। শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হেফাজত নেতা শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ারও দাবি জানান জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও জমিয়াতুল উলামার চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। এসময় তিনি আরো বলেন, দেশের সব মসজিদের ইমাম সাহেব ও মুয়াজ্জিনদের বেতন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। ইমামদের নূন্যতম ৫ হাজার ও মুয়াজ্জিনদের ৩ হাজার বেতন করার দাবি জানান ফরিদ উদ্দীন মাসউদ। এছাড়া যেসব আলেমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রয়েছে তা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান বক্তারা।
আল্লামা শফীকে স্বাধীনতা পদক দেয়ার অনুরোধ
কওমি মাদরাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে স্বাধীনতা পদক দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ করেছেন শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
রবিবার কওমি মাদ্রাসা শিক্ষার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে (তাকমিল) সাধারণ শিক্ষার স্নাতকোত্তর ডিগ্রির সমান স্বীকৃতি দেয়ায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শুকরানা মাহফিলে’ তিনি এ অনুরোধ করেন।
কওমি মাদ্রাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থা ‘হাইআতুল উলয়া লিল জামিয়াতিল কওমি বাংলাদেশ’র ব্যানারে আয়োজিত মাহফিলে সভাপতিত্ব করছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
অনুষ্ঠান মঞ্চে কওমি আলেম-ওলামাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।