শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

জামালগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

Amar surma logo

কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক হীরক রঞ্জন গোস্বামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন টে-ার ও হাসপাতালের মালামাল ক্রয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। মনোহারী ও বিবিধ মালামাল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন গত ৯ জানুয়ারী জেলাপ্রশাসক বরাবরে হীরক রঞ্জন গোশ্বামীর অনিয়ম ও দুর্নিতীর তথ্য তুলে ধরে লিখিত আবেদন করেন। আবেদন ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের টেন্ডার বাণিজ্য, পথ্য সরবরাহ, মনোহারী ও বিবিধ মালামাল সরবরাহ ও কাপড় ধোয়ার (২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের) টেন্ডার নিয়ে নানান ছলচাতুরী করেছেন। ২০১৭-’১৮ অর্থ বছরে বিল নং-৩০৯ থেকে ৩০১৩ ও ৩২৪, ৩২৭, ৩২৮, ৩২৯,৩৩৪, ৩৩৫, ৩৩৬, ৩৩৭, ৩৩৮, ৩৩৯ এর মাধ্যমে ভাউচার তৈরী করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাত করেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।
সিডিউলে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিসর চৌধুরী ২৪.১০.২০১৮ ইং তারিখে সিডিউল ও শর্তবলীর মধ্যে স্বাক্ষর করেন। কিন্ত সিডিউল ক্রয়কারী টিকাদারদের নিকট সরবরাহ করার সময় হীরক রঞ্জন গোস্বামী ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের স্থলে নিজ হাতে অপারেটিং করে ২০১৭-২০১৮ লিখে টিকাদারকে প্রদান করেন। এর উদ্যেশ্য কি তা নিয়ে টিকাদার দের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ৩০.১০.২০১৮ তারিখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন বারাবরে মেসার্স নিহাব এন্টারপ্রাইজের প্রো: দিলোয়ার হোসেন হীরক রঞ্জন গোস্বামীকে দায়ী করে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। তার লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, বিগত ২৯.১০.২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে মনোহারী ও বিবিধ মালামল সর্বরাহে দরপত্র দাখিল করেন। টেন্ডার প্রকাশের পর তিনি দেখতে পান ইতি ল-ি প্রো: ঝান্টু বৈদ্য সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে নির্বাচিত হন। খুজ নিয়ে জানা যায়, হীরক রঞ্জন গোস্বামী মনোহারী ও বিবিধ মালামাল সরবরাহ সিডিউলে নিজ হাতে পূণে করে দরপত্রটি দাখিল করে সর্বনি¤œ দরদাতা নির্বাচিত হন। প্রশ্ন জাগে নিজ হাতে লিখে তিনি মোটা অংকের উৎকোচ অথবা নিজেই অবৈধভাবে মালামাল ক্রয়করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭-২০১৮ ইং তারিখের টেন্ডাটি অক্টোবর ২০১৮-এর ২৯ তারিখ সম্পন্ন করেন। কিন্ত টেন্ডার সিডিউলটি লক্ষ্য করলে দেখা যায়, নিজ হাতে অপারেটিং করে তাকে ২০১৮/১৯ কে ২০১৭/১৮ করা হয়। টেন্ডার বাতিলের জন্য পথ্য টিকাদার ও কাপড় ধোয়ার টিকাদারের নিকট থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে এ ধরণের অনিয়ম করা হয়েছে। বিষয়টি টেন্ডাটি অবহিত নন। মনোহারী ও বিবিধ মালামাল সরবরাহ সিডিউলে দেখা যায় ক্রমিক নং-৩, ৪, ১২, ১৪, ১৫,২২, ২৩, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৯, ৩২, ৩৩, ৩৫, ৩৬ এই ১৬টি মালামালে কোন কম্পানীর মালামাল হবে তা উল্লেখ নেই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হীরক রঞ্জন গোস্বামী বলেন, আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে এসব করা হচ্ছে। টে-ার অভার রাইটিং করা হয়নি। অন্যান্য অভিযোগের উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মনিসর চৌধুরী বলেন, টে-ারের বিষয়ে পত্রিকায় যা প্রকাশ হয়েছে এটাই সত্য। যদি তারখি অভার রাইটিং করে পরিবর্তন করা হয় বা সকল অভিযোগের যাচাই বাচাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com