বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের: আটক ১ দিরাইয়ে মাওলানা মুশতাক গাজীনগরীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নিখোঁজের ৩ দিন পর জমিয়ত নেতা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ উদ্ধার ইউ.কে জমিয়ত সাউথ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড শাখা গঠিত: অলিউর রহমান সভাপতি, আবদুর রহীম সেক্রেটারি দিরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বুরসায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলার্স-এর উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে বজ্রপাত নিরোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সৈয়দ সালমান গিলানীর সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ.কের নাত ও নাশীদ সন্ধ্যা দিরাইয়ে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
সুনামগঞ্জে নিজ সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে প্রেমিক যুগলকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন

সুনামগঞ্জে নিজ সন্তানকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে প্রেমিক যুগলকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন

amarsurma.com

স্টাফ রিপোর্টার সুনামগঞ্জ:
পরকীয়া সম্পর্কের কারণে ১১ বছরের নিজ পূত্র সন্তানকে প্রেমিক দ্বারা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার দায়ে প্রেমিক যুগলকে মৃত্যুদ- দিয়েছেন সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এই দু’জনকে মৃত্যুদ-ের রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চিতুলিয়া গ্রামের আলকাছ আলীর ছেলে প্রেমিক বারিক মিয়া (৩৭) ও তার পরকীয়া প্রেমিকা সিতারা বেগম (৩৯)। এরমধ্যে প্রেমিক মোঃ বারিক মিয়া সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে অন্তরীণ থাকলে হত্যাকা-ের পর থেকে প্রেমিকা সিতারা বেগম পলাতক রয়েছেন।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত শিশু সোয়াইবুর রহমানের প্রবাসী পিতা রফিকুল ইসলাম প্রবাসে থাকার সুবাদে তার মা সিতারা বেগম তাদের বাড়ির কেয়ারটেকার মোঃ বারিক মিয়ার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। স্বামী বিদেশ যাবার আগে মোঃ বারিক মিয়াকে তাদের পরিবারের দেখাশোনা ও হাটবাজারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন মোঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি বিদেশে চলে যাওয়ার পর থেকে কেয়ারটেকার মোঃ বারিক মিয়ার সাথে সিতারা বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় সময়ই বারিক মিয়া সিতারা বেগমের ঘরে রাত্রিযাপন করতেন বলে বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ধরে কেয়ারটেকার বারিক মিয়ার সাথে তার মা সিতারা বেগমের অবৈধ্য সম্পর্ক ও প্রণয়ের বিষয়টি নিজ শিশু সন্তান সুয়াইবুর রহমান নিজ চোখে দেখে ঘটনাটি তার প্রবাসী পিতা রফিকুল ইসলামকে জানানোর চেষ্টা করছিল। এমন খবরে তার মা সিতারা বেগম তার প্রেমিক মোঃ বারিক মিয়াকে সন্তানের পরকীয়ার বিষয়টি অবহিত করলে প্রেমিক যুগল মিলে শিশুটিকে হত্যার পরিকল্পনা গ্রহন করেন। এরই অংশ হিসেবে ২০১২ সালের ১৪ই অক্টোবর বিকেলে একই গ্রামের আরেক শিশু আসামী সাবুল মিয়াকে দিয়ে সিতারার সন্তান শিশু সোয়াইবুর রহমানকে ফুসলিয়ে স্থানীয় চিতুলিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় নিয়ে যায়। সন্ধ্যার পর মৃত্যুদ-প্রাপ্ত প্রেমিক যুগল মিলে ঐ মাদরাসার টয়লেটের কাছে গিয়ে শিশু সোয়াইবুর রহমানের মুখে ও গলায় চেপে ধরে শ^াসরোদ্ধ করে হত্যা করে। পরে শিশু সোয়াইবুর রহমানের লাশ গুম করতে ঐ টয়লেটের ট্যাংকিতে ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই মোঃ হান্নান মিয়া নিজে বাদি হয়ে গত ২০১২ সালের ১৫ই অক্টোবর প্রেমিক যুগল মোঃ বরিক মিয়া, সিতারা বেগম ও সেবুল মিয়া তিনজনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রেমিক বারিক মিয়াকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও প্রেমিকা সিতারা বেগম ও সেবুল মিয়া এখনো পলাতক রয়েছেন। দীর্ঘদিন বিচার কার্য পর্যালোচনা শেষে হত্যাকা-ের ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ আলোচিত হত্যাকা-ের রায়টি প্রদান করেন।
এদিকে বাদিপক্ষের মামলা পরিচালনা করেন এড. জিয়াউল ইসলাম ও আসামী পক্ষে এড. বোরহান উদ্দিন ও এড. আব্দুল ওদুদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com