শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক :
লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এমপি সিরিল স্মিথের হাতে বেশ কয়েকবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে দলটির বিরুদ্ধে ২ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ডের ক্ষতিপূরণ মামলা করতে যাচ্ছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিক। শনিবার ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীর বর্তমান বয়স ৪৭ বছর। তার দাবি, ১৩ বছর বয়সে গ্রেটার ম্যানচেস্টারের রোশডেলে এমপি স্মিথের নির্বাচনী অফিসে তিনটি পৃথক অনুষ্ঠানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এজন্য আড়াই লাখ পাউন্ড ক্ষতিপূরণ দাবি করে তার অভিযোগ সংক্রান্ত সব নথিপত্র আগামী সপ্তাহে লন্ডন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, শহরে লিফলেট বিতরণের জন্য স্মিথ তাকে প্রতিদিন ২ পাউন্ড করে দিতেন।
বলাৎকারের শিকার ওই ব্যক্তির আইনজীবী মিল্টন ফারমান বলছেন, সেসময় তার মক্কেল কার্যত লিবালের ডেমোক্র্যাটিক দলের একজন কর্মচারী ছিলেন এবং তার দায়িত্ব ছিলে শীর্ষ নেতাদের যত্ন নেওয়া। তবে মাঝেমধ্যে পাউন্ডের পরিবর্তে তাকে ইয়র্কি ও কিটক্যাট চকলেটের বার দিতেন স্মিথ। মিল্টন ফারমান গত শনিবার রাতে জানান, লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টির বিরুদ্ধে আদালতে এটাই প্রথম মামলা হতে চলেছে। তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস এই মামলা হলে এই ধরনের আরও অনেক মামলা হবে। আর এক্ষেত্রে আমি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্মিথের হাতে যৌন নিপীড়নের শিকার আরও অনেকে তার দলের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিচ্ছে। কারণ, দলের অন্য নেতারা স্মিথের অপকর্মের বিষয় জানলেও তাকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। অভিযোগকারীর বাবা-মা ১৯৫৭ সালে পাকিস্তান থেকে ব্রিটেনে যান। তার অভিযোগ, স্মিথ তার অফিসে ডেস্কের উপর তাকে ধর্ষণ করত। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অভিযোগ রয়েছে- এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে যেতে চাইলে স্মিথ তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, তোমার কথা কেউ শুনবে না। কারণ, আমি অনেক অনেক শক্তিশালী। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, ওই ঘটনায় স্মিথের বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, স্মিথ মারা যাওয়ায় তার দলের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
তিনি জানান, তার চারটি সন্তান হলেও স্ত্রীর সঙ্গে এখন কোনো সম্পর্ক নেই। তাদের এই বিচ্ছেদের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে শৈশবের ওই যৌন নির্যাতনের স্মৃতি। যেসব স্মৃতির কারণে তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে স্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেননি। এই গ্লানির কারণে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয় তার। তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে আত্মহত্যার চিন্তা দমানোর চেষ্টা করতে তাকে নিয়মিত মানসিক চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়; ওষুধ সেবনও করতে হয় নিয়মিত।