মঙ্গলবার, ১৫ Jul ২০২৫, ০৯:০১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
দিরাইয়ে পুকুরে কাইয়ুম ও হাওরে আসাদের লাশ উদ্ধার দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাওলানা শুয়াইব আহমদের সাথে মতবিনিময় আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল নব্য ফেরাউনের বিরুদ্ধে গণবিস্ফোরণ: ইউকে জমিয়ত সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ
মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদেরকে যৌন নিপীড়ন করছে সেনাবাহিনী: জাতিসংঘ

মিয়ানমারে সংখ্যালঘুদেরকে যৌন নিপীড়ন করছে সেনাবাহিনী: জাতিসংঘ

আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর জনগণের ওপর এখনো যৌন সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে প্রকাশিত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে এই সহিংসতা বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছে সংস্থাটি।

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন ও শান রাজ্য এবং পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার শিকার শত শত মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই প্রতিবেদন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনা সদস্যরা নিয়মিতই কাঠামোবদ্ধভাবে ধর্ষণ, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং নারী, পুরুষ, রুপান্তরকামীদের বিরুদ্ধে অন্যান্য যৌন সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে, যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।

ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সদস্য রাধিকা কুমারাসামি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের গণহত্যার মাধ্যমে তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল এবং তাদের পালাতে বাধ্য করেছে।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, নারীদের এমনভাবে আঘাত করা হয়েছে যেন তারা স্বামীদের সঙ্গে সহবাস করতে না পারে এবং সন্তান জন্মদানে অক্ষম হয়ে পড়ে।

বেশিরভাগ আক্রমণই ছিল নারী ও কিশোরীদের ওপর। তাদের সিগারেটের আগুনে পোড়ানো হয়েছে, ছুরি দিয়ে কাটা হয়েছে এবং সামরিক ঘাঁটিতে বেশ কয়েকজনকে যৌনদাসী করেও রাখা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে কুমারাসামি বলেন, এখনো তাদের ফিরে আসার জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি হয়নি।

তিনি বলেন, তারা যে কোথায় ফিরে যাবে তাও নিশ্চিত নয়। গ্রামগুলোর স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যায় সেখানে অল্প কিছু বাড়ি রয়েছে। তারা যে নিজেদের গ্রামে ফিরতে পারবে না তা নিশ্চিত।

জাতিসংঘ মিশন জানায়, ২০১৮ সালে মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া প্রতিবেদনটি তারা নিজে থেকেই আরও সংযোজন করতে চেয়েছে যেন অন্যায়কারীরা সাজা পায়। এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে মিয়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com