শুক্রবার দুপুরের দিকে দিরাই হাসপাতালে সরেজমিনে গেলে দেখা যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক রোগী ব্যথায় ছটফট করছেন। অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে বর পক্ষের ডাইয়ারগাও গ্রামের সিদল দাস, কৃপেন দাস, গাড়ী চালক রায়হান, রিপন মিয়া ও মাহবুব এই ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার খেয়ে রোগীরা পেটে ব্যাথা ও ডায়রিয়া জনিত সমস্যায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ৪২ জন ও ৪০ জন দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে শুক্রবার সকালের দিকে বর পক্ষের ডাইয়ারগাঁও গ্রামের লিপি রানী দাস (২৬), পিন্টু দাস (১৭) নিলয় দাস (৩), ঐশি দাস, শ্যামলী রানী দাস (৩২) সেন্টু দাস (৩০), চিত্র সেন (২৪), ইলা দাস (৩০), অনন্তপুর গ্রামের কনিকা রানী দাস (৩০), মজলিশপুর গ্রামের পুর্ন দাস (৩০) ও দুর্জয় চন্দ্র দাসসহ ১১ জন রোগী দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
দিরাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বর পক্ষের আত্মীয় একই পরিবারের ৫ জন । এই পরিবারের সুরবালা দাস জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার খাওয়ার পর তার পরিবারের ৫ জনেরই পেটে ব্যাথা, ডায়রিয়া, খিচুনি ও জ্বরে ভোগছেন।
জানা যায়, দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের ডাইয়ারগাঁও গ্রামের মিহির তালুকদারের সাথে সদর উপজেলার মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের সাদকপুর গ্রামের মৃত প্রাণেশ তালুকদারের মেয়ে চন্দনা তালুকদারের বিয়ে বুধবার রাতে সম্পন্ন হয়। এই বিবাহ অনুষ্ঠানে রাতের খাবার খাাওয়ার পর সকালে অনেকেরই পেটে ব্যাথা শুরু হয়। এভাবে অসুস্থ হয়ে একে একে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে সবাইকে ডাইরিয়া ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দিরাই হাসপাতালের কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: সুমন রায় জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৪০ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে, খাদ্যে টক্সিন জাতীয় পদার্থের কারনে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, তাদেরকে সার্বক্ষনিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।