রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন
সাইফ উল্লাহ, বিশেষ প্রতিবেদক (সুনামগঞ্জ):
নামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা ও বৌলাই নদীতে টোল আদায়ের নামে বেপরোয়া চাঁদাবাজি বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালণ করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলার ফোরবাাঁক ইউনিয়নের গজারিয়া বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর তীরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গজারিয়া বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান, ব্যবসায়ী ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহাব উদ্দিন, ফেনারবাঁক ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদ আলী, ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ, সমাজকর্মী মাওলানা এমদাদুল হক, শ্রমিক নেতা কামরুল ইসলাম, বশির আহম্মেদ, প্রবাল মিয়া, এমদাদুল হক, কবীর হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের (বিআইডব্লিউটিএ) ভৈরব বাজার নদী বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গজারিয়া বাজার ঘাটের টোল আদায়ের নামে গত প্রায় ৩ মাস আগে একটি আদেশ নামা নিয়ে আসনে উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের ইয়া কবীর আফিন্দী নামে এক ব্যক্তি। তিনি ওই কাগজের বলে তার লোকজন দিয়ে ওই নৌপথে চলাচলকারী কয়লা, বালু-পাথর বোঝাই বাল্কহেডক নৌকা আটকিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধভাবে লাখ-লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এতে করে গজারিয়া নৌঘাট এলাকার বালু-পাথর, কয়লা উঠা নামার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা চরম ভাবে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছেন।
বক্তারা আরো বলেন, চাঁদাবাজদের বেপরোয়া চাঁদাবাজির কারণে বেশ কিছু দিন ধরে গজারিয়া ঘাটে মালামাল উঠা-নামা বন্ধ থাকায় এলাকার কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই অনতি বিলম্বে ওই নৌপথে চাঁদাবাজী বন্ধের দাবী জানান এলাকাবাসী। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষণা করবেন বলেও মানববন্ধনে হুমকি দেন বক্তারা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইজারাদার ইয়া কবীর বলেন, আমি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে কোনো টোল আদায় করিনি। তবে এ নৌপথে যারা চাঁদা আদায় করছে তাদের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াংকা পাল বলেন, নৌ-পথে চাঁদাবজির বিষয়ে আমার কাছে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, নৌপথে অবৈধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে তাহিরপুরের যাদুকাটায় ও সোলেমানপুর নৌপথে চাঁদা বাজদেরে বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। জামালগঞ্জের নদীপথে অবৈধ চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং নৌপথে চাঁদাবাজদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।