মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
শিশু সামিউল হত্যাস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন চৌকিদার ময়না

শিশু সামিউল হত্যাস্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন চৌকিদার ময়না

আমার সুরমা ডটকম :

সিলেটে শিশু সামিউল আলমকে (রাজন) নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়না। রিমান্ড শেষে সোমবার বিকেলে ময়নাকে মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেখানে তিনি বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত জবানবন্দি দেন।আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (আদালত) আবদুল আহাদ বলেন, সামিউলকে নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ত থাকার কথা ময়না স্বীকার করেছেন। তাঁর দেয়া জবানবন্দি ও ঘটনার ভিডিওচিত্রের মিল রয়েছে। মামলার এজাহারে নাম থাকা চার আসামির একজন হচ্ছে ময়না।

পুলিশ জানায়, সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার পীরপুর গ্রামের বাসিন্দা ময়না মিয়া কুমারগাঁও বাসস্টেশনের চৌকিদার ছিলেন। গত ৮ জুলাই সামিউল রাজনকে ‘চোর’ অপবাদে ময়নাই আটক করে কুমারগাঁও বাসস্টেশন এলাকার একটি বিপণিবিতানের দোকানঘরের বারান্দার খুঁটিতে বেঁধে রেখেছিল। পরে সামিউলের ওপর একটানা প্রায় আধঘণ্টা চলে নির্যাতন। একপর্যায়ে সামিউল মারা গেলে ময়না পালিয়ে যান। ১৪ জুলাই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় নির্যাতনকারীদের অন্যতম চৌকিদার ময়না মিয়াকেও জনতা পুলিশে দেয়। ময়নার মা ছমিরন্নেছা ছেলের অবস্থান সম্পর্কে স্থানীয় টুকেরবাজার ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এনামুল হোসেনকে জানালে তিনি পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। এনামুল হোসেন জানান, ময়নাকে মূলত তাঁর মা-ই ধরিয়ে দিয়েছেন। পরদিন আদালত ময়নার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শিশু সামিউল রাজনকে নির্যাতন করে হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত ধরা পড়া ১০ আসামির মধ্যে ময়না মিয়াই প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com