সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত দেশের রাজনীতি ও গণতন্ত্রের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। সোমবার সুজনের সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক, অসার এবং অপ্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করে বলেন, এতে দলের নামে মনোনয়ন বাণিজ্য আরো রমরমা হবে। ‘নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন’ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়ার প্রেক্ষিতে ড. বদিউল আলম মজুমদার এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ড. আলম বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচনকে রাজনীতিকীকরণ করতে এবং দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে বলে সরকার যুক্তি দেখাচ্ছে। এই যুক্তি একেবারেই অসার, খোড়া এবং দুর্বল। কারণ প্রথমত, স্থানীয় সরকার নির্দলীয় হলেও একটি রাজনৈতিক কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে আছে। রাজনৈতিক মোড়কেই এই সরকার ব্যবস্থাকে মূল্যায়ন করতে হয়। একে নতুন করে রাজনৈতিক চাদরে ঢাকার কোনো দরকার নেই। দ্বিতীয়ত, এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করা অবান্তর। কারণ, জাতীয় নির্বাচনের মধ্য দিয়েই দলগুলো তাদের নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরে আনতে পারে নাই, সেখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এমন আশা করা একেবারেই উচ্চাশার নামান্তর। তিনি বলেন, ‘এটি বাংলাদেশ। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন এবং সম্প্রতি সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতার কথা চিন্তা করেন। দেখতে পাবেন দলের নামে নির্বাচনে কি হয়। উল্লেখ্য, সোমবার স্থানীয় সরকার পরিচালনার সংশোধিত পাঁচটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) (সংশোধন) আইন-২০১৫’, উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৫’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন-২০১৫’, স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) আইন-২০১৫’ ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) আইন-২০১৫’ এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নির্বাচন না হলে সরকারি প্রশাসন থেকে কাউকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যাবে।