মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত পৌরসভা তফসিল ঘোষণার পর হতেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে। প্রত্যেক দলের প্রার্থী বাচাই করে ইতিমধ্যেই তারা দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ফলে সরকারের ‘দলীয় পরিচয়ে স্থানীয় নির্বাচন’ বিষয়ক আলোচনাটি এখন সর্বত্র চলছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দেশের ২৩৪টি পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই প্রার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চলছে। এখন থেকেই রাত-দিন ভোটারদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে চাচ্ছেন তারা। ফলে এক ধরণের নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে পৌরসভার অভ্যন্তরে। মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে পুরাতনের সাথে নতুন মুখের আগমন ঘটবে। গ্রাম-পাড়া, মহল্লা ও হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ অলিগলিতে এখন একই আলোচনা ‘পৌরসভা নির্বাচন’। বিশেষ করে দলীয় প্রতীক ও প্রার্থী নিয়েই বেশি আলোচনা হচ্ছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়তে চাচ্ছেন, তারা হলেন দিরাই উপজেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ মঈন উদ্দিন চৌধুরী (মাসুক) ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশাররফ মিয়া। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে সংরক্ষিত আসনের নারী প্রার্থীসহ কাউন্সিলর পদে প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বলে জানা গেছে।
এদিকে গত নির্বাচনে পৌরসভার ১২টি কেন্দ্রে ২ প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৭ হাজার ৫ ভোট পেয়ে মাত্র ৬২৬ ভোটে নির্বাচিত হন লণ্ডন প্রবাসি বিশিষ্ট ব্যবসায়ি আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের আজিজুর রহমান বুলবুল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত উপজেলা যুবদলের সভাপতি আনারস প্রতীকের মোঃ মঈন উদ্দিন চৌধুরী (মাসুক)। তার প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল ৬ হাজার ৩৭৯টি।