শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় ৬ বছরের সন্তানকে বিষপান করিয়ে হত্যার পর পারভীন বেগম(২৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সকালে এ ঘটনায় স্ত্রী পারভীনের বিরুদ্ধে জাকির হোসেন জুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। বর্তমানে পারভীন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন।
জুড়ী থানার পুলিশ জানায়, শিশুটির নাম সাদিয়া বেগম। সে বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান ছিল। পরিবারের সঙ্গে সে উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের মনতৈল গ্রামে থাকত। গ্রামের একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে জুড়ী থানার পুলিশ জানায়, পারভীনের স্বামী জাকির প্রায় পাঁচ বছর কাতারে ছিলেন। মাস দেড়েক আগে তিনি বাড়ি ফেরেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গ্রামে একটি দোকানে বসে ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন। তখন তিনি খবর পান যে মেয়ে সাদিয়া বমি করছে। দ্রুত বাড়ি ফেরে তিনি মেয়েকে নিয়ে সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দিকে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী পারভীনও। কিন্তু পথে স্ত্রী পারভীনও বমি করতে শুরু করেন। এতে জাকিরের সন্দেহ হয়। পরে জাকির স্ত্রী ও মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত তিনটার দিকে মেয়ে সাদিয়া মারা যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালটির মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মেয়ে সাদিয়াকে বিষপানে হত্যা করে স্ত্রী পারভীনও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন স্বামী জাকির।
আজ দুপুরে মনতৈল গ্রামে জাকিরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, জাকিরের অসুস্থ বৃদ্ধ বাবা আবদুল কাদির ও তাঁর ভাবি আলেখা বেগম বিমর্ষ হয়ে বসে আছেন। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আলেখা বলেন, জাকির হাসপাতালে আছেন। পারভীনের সঙ্গে জাকির বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের কোনো বিবাদ ছিল না। কী কারণে ঘটনাটি ঘটল, তাঁরা কিছুই বুঝতে পারছেন না। এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হলে জাকিরের মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হামিদুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশি পাহারায় পারভীনের চিকিৎসা চলছে। সুস্থ হয়ে উঠলে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’