বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের: আটক ১ দিরাইয়ে মাওলানা মুশতাক গাজীনগরীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নিখোঁজের ৩ দিন পর জমিয়ত নেতা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ উদ্ধার ইউ.কে জমিয়ত সাউথ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড শাখা গঠিত: অলিউর রহমান সভাপতি, আবদুর রহীম সেক্রেটারি দিরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বুরসায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলার্স-এর উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে বজ্রপাত নিরোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সৈয়দ সালমান গিলানীর সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ.কের নাত ও নাশীদ সন্ধ্যা দিরাইয়ে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
অস্ত্র সরবরাহকারীদের প্রস্তুত থাকতে বললো ভারত!

অস্ত্র সরবরাহকারীদের প্রস্তুত থাকতে বললো ভারত!

আমার সুরমা ডটকম ডেক্সভারতের অস্ত্র সরবরাহকারীদের স্বল্প সময়ের নোটিসে অস্ত্র উৎপাদন ও সরবরাহ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে দেশটির সরকার। ভারতীয় কর্মকর্তা ও অস্ত্র কোম্পানির শীর্ষ নির্বাহীদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস খবরটি নিশ্চিত করেছে। ভারত-পাকিস্তানের চলমান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করেই তাদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, পাঠানকোটের সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা এবং পরবর্তীতে হিজবুল মুজাহিদীন নেতা বুরহান ওয়ানিকে কথিত এনকাউন্টারে হত্যার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক উরি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর আবারও জয়েশ-ই মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতার প্রসঙ্গ তুলে পাকিস্তানকে দায়ী করতে শুরু করে ভারত। পারস্পরিক দোষারোপ এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক তৎপরতার এক পর্যায়ে ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) রাতে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে ভারতের সেনারা সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলোতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালানোর দাবি করে। ওই অভিযানে ৯ পাকিস্তানি সেনা ও ৩৫ থেকে ৪০ জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। ঘটনার পর থেকে দুই সেনা সদস্য নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে পাকিস্তান দাবি করে আসছে, এটি সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ছিল না, সীমান্ত সংঘর্ষ বা আন্তঃসীমান্ত গোলাগুলির ঘটনা ছিল। ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ এখন যতোটা না জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সাফল্য-ব্যর্থতার প্রশ্ন, তার থেকেও বেশি করে ভারত ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ক্ষমতা-আত্মমর্যাদা আর দম্ভের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইকোনমিক টাইমসের খবরে বলা হয়, কয়েকদিন নরেন্দ্র মোদি সরকার অস্ত্র সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে এই মুহূর্তে প্রয়োজন পড়লে দেশের প্রতিটি সেনা জওয়ানের হাতে অস্ত্র তুলে দেয়ার জন্য সম্ভার রয়েছে কী না? শীর্ষস্থানীয় এক প্রতিরক্ষা নির্বাহী ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, ‘অস্ত্র প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোর কাছ থেকে সরকার বাস্তবসম্মত হিসেব চেয়েছে। জানতে চেয়েছে বেশি সংখ্যক অস্ত্রের দরকার পড়লে তারা তা সরবরাহ করতে পারবে কী না?’ সূত্র জানিয়েছে, জানুয়ারিতে পাঠানকোর্টের বিমানঘাঁটিতে হামলা হওয়ার পরও সরকার একই তথ্য জানতে চেয়েছিল। গত ২৯ সেপ্টেম্বরের কথিত সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের একদিন আগে ভারতের অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও আভাস দিয়েছিলেন যে, নিরাপত্তজানিত প্রয়োজন মেটাতে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানো হতে পারে। ভারতের সশস্ত্র বাহিনীও পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের জন্য নিজেদের যে অস্ত্রে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ করতে চায় বলে উল্লেখ করেছে ইকোনমিক টাইমস।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com