শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা দায়ের: আটক ১ দিরাইয়ে মাওলানা মুশতাক গাজীনগরীর হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নিখোঁজের ৩ দিন পর জমিয়ত নেতা মুশতাক গাজিনগরীর লাশ উদ্ধার ইউ.কে জমিয়ত সাউথ ওয়েস্ট ইংল্যান্ড শাখা গঠিত: অলিউর রহমান সভাপতি, আবদুর রহীম সেক্রেটারি দিরাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের লাশ উদ্ধার ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা বুরসায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর মুসলিম স্কলার্স-এর উদ্যোগে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত দিরাইয়ে বজ্রপাত নিরোধ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সৈয়দ সালমান গিলানীর সাথে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ.কের নাত ও নাশীদ সন্ধ্যা দিরাইয়ে গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু
বাবা যেখানে চা বিক্রেতা, সেই কোর্টেই বিচারক হলেন মেয়ে

বাবা যেখানে চা বিক্রেতা, সেই কোর্টেই বিচারক হলেন মেয়ে

we-22আমার সুরমা ডটকম ডেক্স : ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক সময় চা বিক্রি করতেন। তাছাড়া বাবা কষ্ট শ্রমিক, কুলি, মজুর সন্তান বড় অফিসার সিনেমার পর্দায় এমনটা প্রায়ই দেখা যায়। বাস্তবেও এমন ঘটনা কম নয়। এবার ভারতের পাঞ্জাবে এক চা বিক্রেতার মেয়ে আদালতের বিচারক হলেন। এতে অবাক করার কিছু নেই তাইতো? আসলে ভাগ্যের পরিহাসে সেই মেয়ে বিচারক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন সেই আদালতে যেখানে তার বাবা চা বিক্রি করেন। ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, পাঞ্জাবের জলন্ধরের এক আদালত চত্বরে চা বিক্রি করে সংসার চালানো ওই ভাগ্যবান পিতা হলেন সুরেন্দ্র কুমার নামের এক ব্যক্তি।

গণমাধ্যমগুলো লিখেছে, সুরেন্দ্রর মেয়ে শ্রুতি পড়াশোনায় শুরু থেকেই ভাল ছিল। বছর ২৩-এর শ্রুতি প্রথম বারেই পাশ করেছেন পাঞ্জাব সিভিল সার্ভিস(জুডিসিয়াল) পরীক্ষা। এরপর একবছর ট্রেনিং-এর পর এখন পঞ্জাবের জলন্ধরে নাকোদার শহরের সাব-ডিভিশনার ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারকের পদে নিযুক্ত হলেন। এসসি ক্যাটাগরিতে প্রথম হয়েছেন শ্রুতি। মেয়ের বিচারক হওয়ার খবরে বাবার চোখে বইছে আনন্দ অশ্রু। তিনি বলেছেন, ‘এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম। বিশ্বাস ও এরকম একটা কিছু করবে।’ কথাটা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। আর মেয়ে শ্রুতি বলেছেন, ‘আমার কাজটা সহজ ছিল না ঠিকই। কিন্তু বাবাকে চা বিক্রি করতে দেখে জেদটা চেপে গিয়েছিল। সেই জেদটার জন্যই হয়তো স্বপ্নের চাকরিটা নিতে পেরেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি সবসময়ই চাইতাম কোনো আইনি পেশার সঙ্গে যুক্ত হতে। বিশেষত চাইতাম বিচারক হতে। তাই এই পরীক্ষায় বসা এবং প্রথমবারেই সাফল্য।’ এ সাফল্যের পর শ্রুতিকে নিয়ে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস, সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। হবেই বা না কেন, নারীর ক্ষমতায়ন বাড়াতে একযোগে কাজ চলছে ভারত জুড়ে। এসময় এমন শুভ একটি সংবাদ, নিশ্চয়ই অন্যদের অনুপ্রাণিত করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com