শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন
কাজী জমিরুল ইসলাম মমতাজ, স্টাফ রিপোর্টার (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জ সরকারী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও অটোরিক্সা চালক ইমরান হোসেন সদর থানার এএসআই শাকির হোসাইনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য কর্তৃক ধৃত হওয়ার ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
গত রবিবার দুপুর আড়াইটায় শহরের পৌর বিপনীর দ্বিতীয় তলায় এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিখুঁজ ইমরানের ছোট বোন কলি আক্তার। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিখোঁজের মাতা চানমালা বেগম ছেলের সন্ধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য বিগত ১৫ মে ২০১৮ ইং তারিখে নিখুঁজ ইমরানের পিতা আবু সুফিয়ান ছেলের সন্ধান চেয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও ২০ জুন ২০১৮ সিলেট ডিআইজিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত আবেদন জানিয়েও ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নিখুঁজ ইমরানের পিতা আবু সুফিয়ান, ছোট বোন শারমিন আক্তার ও মাতা চান মালা বিবিসহ স্থানীয় গণমাধ্যমের কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানায়, নিখুঁজ ইমরান কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নয় এবং কোন প্রকার রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সাথেও জড়িত নয়। সে পড়াশুনার পাশাপাশি অটোরিক্সা চালিয়ে সংসারের ব্যয় ভার বহন করতো। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ইমারান হোসেনের কোন খোঁজ না পেয়ে মানবেতর জীনব যাপন করছেন তার পরিবার। ছেলের সন্ধান না পেয়ে বৃদ্ধ পিতামাতা মৃত্যু পথযাত্রী বলেও জানানো হয়। ছেলের সন্ধান পেতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ও পুলিশ সুপার মো: বরকতুল্লাহ খানের সাথে বার বার দেখা করে তাঁর খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। নিখুঁজের বিষয়ে সদর থানা পুলিশ কোন ধরনের জিডি গ্রহণ করতে অনিহা প্রকাশ করছেন বলে অভিযোগ নিখুজের পরিবারের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয় যে, নিখুঁজ ইমরানের চাচাত ভাই সেনাবাহিনীতে চাকুরীরত আনোয়ার হোসেন ও আনোয়ারের চাচাত ভাই দেলোয়ার মাস্টারের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই হয়তো গুমের ঘটনা ঘটতে পারে। নিখুঁজের প্রায় এক মাস পুর্বে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত কার্যালয় নবীনগরে শালিস বৈঠকে বলেছিল যে, তোমাদেরকে কোথায় নেই পরে বুঝবে বলেও হুমকি দিয়েছিল বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।