রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদারের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্যদিয়ে শেষ হলো রাজন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। এদিকে পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণের জন্য রাজন হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামের আইনজীবী আবেদন জানান। কিন্তু তা নামঞ্জুর করেন আদালত। রোববার সর্বশেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। আলোচিত এই মামলায় মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা রাজন হত্যা মামলার শেষ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সুরঞ্জিত আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার পর বিচারক আধা ঘণ্টার জন্য মুলতবি ঘোষণা করেন। পরে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিট পর্যন্ত আদালতে ফের সাক্ষ্য দেন সুরঞ্জিত তালুকদার। মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি মফুর আলী জানিয়েছেন, আদালতে কামরুল ইসলামের আইনজীবী পুনঃসাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানান। তবে আদালত তা নামঞ্জুর করেছেন। তিনি জানান, আগামী ২০ অক্টোবর রাজন হত্যা মামলার সাক্ষী ও আসামি যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হবে। ২৫ অক্টোবর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন চলবে। গত ১ অক্টোবর শুরু হয় রাজন হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম। এরপর গত ৪, ৭, ৮, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ৩৫ জন সাক্ষ্য দেন। রোববার সুরঞ্জিতের সাক্ষ্যসহ মোট ৩৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে রাজন হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। প্রসঙ্গত, গত ১৬ আগস্ট রাজন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদিতে আটককৃত কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ এবং আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখানো হয়। আদালত গত ২৪ আগস্ট সোমবার চার্জশিট আমলে নেন। পরদিন ২৫ আগস্ট পলাতক কামরুল ও শামীমের মালামাল ক্রোক করে নগরীর জালালাবাদ থানা পুলিশ। গত ৩১ আগস্ট রাজন হত্যাকা-ের মূল আসামি পলাতক কামরুল ইসলাম, তার ভাই শামীম আহমদ ও আরেক হোতা পাভেলকে পলাতক দেখিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।