সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৭ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: উচ্চ আদালতের আদেশে মেয়র পদ ফিরে পাওয়ার ৩ দিন পর আদেশের সার্টিফাইড কপির অনুলিপি স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগে পৌঁছানো হয়েছে। একই সাথে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধূরীর স্বাক্ষরিত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোতেও পত্র পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, এসএমপি কমিশনার সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বরাবরে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের সার্টিফাইড কপি ও মেয়র আরিফুল হক চৌধূরীর দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা’র একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিভাগ তা গ্রহণ পূর্বক রিসিভড কপি মেয়র ও তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফিকে প্রদান করেন। উল্লেখ্য, গত সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ দস্থগির ও মো. আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ মেয়র আরিফুল হক চৌধূরীর মেয়র পদ ফিরিয়ে তার করা রিট পিটিশনের ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে মেয়র আরিফুল হক চৌধূরীকে সাময়িক বরখাস্থ করে। এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র আরিফুল হক চৌধূরী কোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।
গত সোমবার এই রিটের শোনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। শুনানিতে মেয়র আরিফুল হকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন ও ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। এই হত্যাকান্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুর হক চৌধূরীকে আসামি করা হয়। ২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত মেয়র আরিফুলের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনায় দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর মেয়র আরিফকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়। ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি দীর্ঘ কারাভোগের পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মেয়র আরিফ। আর এই মুক্তির মধ্য দিয়ে আবারও নগরবাসীর সেবা করার পথ সুগম হয় মেয়র আরিফের।