রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ অপরাহ্ন
মোঃ মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় হালির হাওয়রে রাঙ্গিয়া নামক স্থানে হাওরপাড়ের গ্রামের কৃষক-কৃষাণির বাঁধ নির্মাণে স্বেচ্ছাশ্রমে দিনভর মাটি কাটছেন। প্রায় ২/৩ দিন যাবত সোনালী ফসল বোরো ধানের জমি অতি বৃষ্টির পানিতে ডুবো ডুবো অবস্থা, আবার পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় পাউবো মেরামতকৃত হাওর রক্ষা বাঁধ দূর্বল হওয়ায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ স্বেচ্ছায় বাঁধে কাজ করছেন। তাদের সাথে সমবেদনা দেখাতে সাচনাবাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চলন্তিকা সমিতির উদ্যোগে কৃষক-কৃষাণিদের মাঝে হাওর রক্ষা বাঁধের কর্মরত শ্রমিকদের শুকনা খাবার, চিড়াগুড় এবং বাঁধ মেরামতের জন্য বস্তা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগান্তরের উপজেলা প্রতিনিধি ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী হাবিবুর রহমান, সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাবিল মাহমুদ, কোষাধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন (ছোটন), সহ-কোষাধ্যক্ষ মোঃ নূর আলম ও সদস্য মোঃ ইয়ার হুসেন প্রমুখ।
অপরদিকে রোববার উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্তী সারাদিন পাকনার হাওরের বিভিন্ন রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের শান্তিপুর সংলগ্ন কানাইখালি নদিতে একপক্ষ বাঁধ দেওয়ায় অপরপক্ষ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলার হাওর রক্ষা বাঁধ তদারকির দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ শফিউল আলম (এডিসি শিক্ষা)। এ সময় উপস্থিত সকলকে নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্তী সাথে আরও ৩/৪ জন কর্মকর্তাকে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে পরামর্শ দেন। পরদিন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে কৃষি অফিসার ড: সাফায়েত আহমেদ সিদ্দিকিসহ ৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি সরেজমিন খোঁজ নেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রসূণ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বিকল্প ডালিয়া সুইস গেইট খুলে দিলে সমস্যার নিরসন হবে কি না এ ব্যাপারে জেলা পাউবো ইঞ্জিনিয়ারকে বলেছি, তার সিদ্ধান্ত দেওয়ার অপেক্ষায় আছি। এ নিয়ে ফেনারবাঁক ইউনিয়নের এক অংশের কৃষকগন ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন।