মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৩৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুগ্ম সচিব ও অসাধু এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের হজ্ব যাত্রী নিবন্ধনের অনিয়মের অভিযোগ করেছেন হজ যাত্রী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ। রোববার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান এইচ এম মুজিবুল হক শুক্কুর। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর ২০১৫ সালের জন্য বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবে ১০ হাজার ও বেসকারিভাবে ৯১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করতে পারবেন বলে জানিয়ে হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কয়েক দফা নির্দেশনায় হজ এজেন্টদের আগে মোয়াল্লেম ফি জমা ও পরবর্তীতে হজ যাত্রী নিবন্ধন করা হবে বলে জানানো হয়। মোয়াল্লেম ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালের ১ মার্চ। কিন্তু ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে বেসরকারি হজ যাত্রী নিবন্ধন শুরু হবে।
ঐদিন সন্ধ্যায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরদিন ২০ তারিখ ছিল শুক্রবার। ২১ ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের কারণে বাংলাদেশের সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। পরদিন ২২ তারিখ নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখা যায় ৯১ হাজার ৭৫৮ জন বেসরকারি হজ যাত্রীর কোটা পূরণ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ১৯ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মদিবস বন্ধ থাকার সুযোগে ধর্মমন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান, যুগ্ম সচিব হাসান জাহাঙ্গীর আলম ও কিছু অসাধু এজেন্সি মালিকদের যোগসাজশে ভুয়া হজ যাত্রী নিবন্ধন করা হয়েছে।
ফলে সারাদেশের ৩৫০টি হজ এজেন্সির অধীনে ২০ হাজার যাত্রী নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত হয়ে হজ যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। মুজিবুল হক শুক্কুর বলেন,নিবন্ধনকৃত তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, হাজীর নামের জায়গায় লেখা হয়েছে মোবাইল নাম্বার I সিম এবং কিছু এজেন্সি একই নাম দুই তিনবারও নিবন্ধন করেছে। এভাবে ভুয়া তথ্য দিয়ে হজ যাত্রী নিবন্ধন হয়েছে।
নিবন্ধনহীন ২০হাজার লোকের হজ যাত্রা নিশ্চিত করার দাবিতে আগামিকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও বিকেলে ঢাকার আশকোনা হজ অফিসের সামনে হাজী সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে হজ যাত্রী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশ। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশের(আটাব) কার্যকরী সদস্য শাহ আলম, হজ যাত্রী কল্যাণ সংস্থা বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মো. আমিন, সচিব কাজী জসীম উদ্দিন, সহকারি সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ শামসুদ্দিন হাবিবী, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব)সদস্য আবদুল করিম, ট্রাভেল এজেন্সি মালিক আবদুল হালিম, আনোয়ার হোসেন ও আবুল বশর।