বৃহস্পতিবার, ০৩ Jul ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
আবনায়ে ক্বাদিম সাকিতপুর মাদরাসার কমিটি গঠন সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা জমিয়তের প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন সুনামগঞ্জ-৩ আসনে জমিয়তের হেভিওয়েট প্রার্থী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে ড. শোয়াইব আহমদকে জয়যুক্ত করতে হবে: মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী
একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি ছাতক সুরমা ব্রিজের নির্মাণ কাজ

একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি ছাতক সুরমা ব্রিজের নির্মাণ কাজ

চান মিয়া, বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): ছাতকে সুরমা নদীর উপর ব্রিজের পূণঃনির্মাণ কাজ একনেকে অনুমোদনের ১০ মাসেও শুরু হয়নি। ২০১৬ সালের অক্টোবরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১শ’ ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। তবে কবে কাজ শুরু হচ্ছে এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না। দু’পারের এপ্রোচ এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বিপত্তির ফলে কাজ শুরুর ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানা গেছে। ২০০৪ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট সরকার প্যাকেজ সিস্টেমে সুনামগঞ্জ ও ছাতকে সুরমা নদীর উপর পৃথক দু’টি ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এর আগে সয়েল টেস্টসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম শেষে প্রকল্প গ্রহণের পর ব্রিজের মূল ভিত্তিসহ প্রায় ৪০% কাজ সম্পন্ন করা হয়। পৌরসভার শ্যামপাড়া ও নোয়ারাই ইউপির বারকাপন এলাকায় সুরমা নদীর উপর নির্মিতব্য সেতু ছাতক-সিলেট সড়কের লালপুল সতের শিখার কিছু উত্তরে সংযোগ দেয়া হবে। তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর সরকারের একটি বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২০০৬ সালে জানুয়ারি মাসে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয় সেতুর নির্মাণ কাজ। প্রকল্প শেষ করার মেয়াদ ছিল ৩ বছর। কাজ শুরুর এক বছরের মধ্যে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর দু’তীরে সেতুটির চারটি পিলার (স্তম্ভ) সহ ভিত্তি নির্মাণ করা হয়। ২০০৭ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর প্রকল্পটি সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) থেকে বাদ দেয়ায় অনেকটাই সেতুর ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এরপর ২০১০ সালে এ সেতুটির অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ৫১ কোটি টাকার একটি সংশোধিত প্রকল্প যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। এ আবেদনের পর আবারো নতুন করে ১শ’ ১২ কোটি ৯৯ লাখ ৪৯ টাকার প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে পরিকল্পিত এপ্রোচ ও নেভিগেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে সেতু নির্মানে ১শ’ ১৩ কোটি টাকার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরও এপ্রোচের ভূমি অধিগ্রহণের জন্যে ঝুলে রয়েছে প্রকল্পটি।
জানা গেছে, সেতু নির্মানে ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে গত জুন মাস পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে একটি আবেদন পাঠানো হয়। সুরমা নদীর দু’তীরে প্রায় ২০ একর ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তাব এখন প্রক্রিয়াধিন রয়েছে। অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই এপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু করা হবে বলে জানা গেছে। ভূমি অধিগ্রহণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেতু এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে সেতুর প্রায় ৪০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সজিব আহমদ জানান, মূল সেতুর দরপত্র মুল্যায়ন এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এটি অনুমোদনের জন্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের ৪টি পিলারের সাথে নতুন ৩টি পিলার সংযোজন করেই সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে। এদিকে সুরমা সেতু নির্মিত হলে এখানের ব্যবসা বাণিজ্যের আরো প্রসার ঘটবে বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com