শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ পূর্বাহ্ন
ছাদিকুর রহমান ছাদি, গোলাপগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা: মাঘের শীতে নাকি বাঘে খায়। যদিও মাঘ মাস এখনও আসেনি, পৌষের শীতেই এ অবস্থা এখন। শেষ পৌষের শীতে কাবু দেশ। হাওর, পাহাড় বেষ্টিত সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলায় শীতের তীব্রতাও বেড়েছে বেশ ভালোভাবেই। মৌসুমের শুরুতে তেমন শীত অনুভূত না হলেও গত কয়েকদিনের মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত বাড়ছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন ছিন্নমূল লোকজন। তীব্র শীতে ফুটপাত ও বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। শীতের কারণে উপজেলার গোলাপগঞ্জ, ঢাকাদক্ষিণের ফুটপাতসহ বিভিন্ন মার্কেটে শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়েছে। গোলাপগঞ্জ ও ঢাকাদক্ষিণের বিভিন্ন কলোনীর মানুষেরা জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার শীত বেশি। তারা দিনভর পরিশ্রম ও করে রাতে কলোনীতে ঘুমাতে যান। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও শীতবস্ত্র না পাওয়ায় অনেক কষ্টে আছেন।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ৩-৪ দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কাছাকাছি থাকায় শীতের তীব্র বেড়েছে। তবে কতদিন এ শৈত্যপ্রবাহ থাকবে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে সকালে তীব্র ঠান্ডায় কাজে বের হতে পারছে না মানুষ। এছাড়াও বিকেল থেকেই তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও দোকানপাট। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ জন। গরম কাপড়ের অভাবে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষ। কাজে বের হতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ।
অপরদিকে উপজেলার কালিকৃষ্ণপুর এলাকায় হতদরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ বেশী। যারা দিন আনে দিন খায়। চলতি সপ্তাহ ধরে প্রচন্ড শীতে জীবন যুদ্ধে বেঁচে থাকার জন্য কাজের সন্ধানে বের হলেও কোথাও তাদের জন্য কাজ মিলছে না। আর প্রচন্ড শীতের তীব্রতার কারনে কৃষকরা কাজ করার জন্য ঘর থেকে মোটেও বের হতে পারছেন না। পৌষ মাসের শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারী শৈত্যপ্রবাহ শুরুর কারনে উপজেলার অন্যান্য গ্রামে খেটে খাওয়া নিন্ম আয়ের মানুষের জীবন যাত্রা একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। দরিদ্র অভাবী পথ শিশু, বৃদ্ধ লোকজন শীত বস্ত্রের অভাবে অতি কষ্টে দিনযাপন করছে। গরম কাপড়ের অভাবে দুস্থ ও ছিন্নমূল মানুষ ঘর ছেড়ে বাহিরে কোথাও যেতে পারছে না। নিন্ম আয়ের লোকজন ও শ্রমিকরা চরম ভোগান্তিতে দিনতিপাত করছেন।