বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার ৭৭.৭৭ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১০৬২৯ জন। সেই সাথে শতভাগ পাস করেছে ১৫৭৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ছেলেদের চাইতে মেয়েরা ২.১৪ ভাগ বেশি পাস করেছে। তবে এবার পাসের হার কমেছে ৩ ভাগ।
রবিবার সকাল ১০ টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের কপি হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এরপর দুপুর ১ টায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী। দুপুর ২টার পর থেকে পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে ও দেশের বাইরে কয়েকটি কেন্দ্রে একযোগে এসএসসি ও সমমানের লিখিত বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪ মার্চ পর্যন্ত চলে।
এ বছর ৩ হাজার ৪১২টি কেন্দ্রে মোট ২০ লাখ ৩১ হাজার ৮৮৯ পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তার মধ্যে ১০ লাখ ২৩ হাজার ২১২ জন ছাত্র, ছাত্রীর সংখ্যা ১০ লাখ ৮ হাজার ৬৮৭ জন।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। এ জন্য ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।
মাদরাসা বোর্ডেও ক্ষেত্রে Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে আবার স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এছাড়াও কারিগরি বোর্ডের এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার ফল জানতে ssc লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
এছাড়াও www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।
এদিকে, এবারের ফলাফলেও লেটার গ্রেডের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবে শিক্ষার্থীরা। তবে তা শুধু শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে। অবশ্য, শারীরিক শিক্ষা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ের নম্বর ওয়েবসাইটে যুক্ত থাকলেও এই দুই বিষয়ের নম্বর জিপিএ নির্ধারণে ভূমিকা রাখে না বলে জানিয়েছেন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।
অন্যদিকে, এবারও ফলাফলে থাকছে না সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সেরা–২০ ও সেরা–১০) তালিকা। ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষ তালিকায় ঠাঁই পেতে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সেরা প্রতিষ্ঠানের তালিকা তুলে দেয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। যা ২০১৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল থেকে কার্যকর করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে সরকারি পরীক্ষাগুলোতে (জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি) বোর্ডভিত্তিক সেরা ২০ ও জেলাভিত্তিক সেরা ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে আসছিল শিক্ষা বোর্ড। নিবন্ধিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থীর শতকরা হার, শতকরা পাসের হার, মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হার, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও প্রতিষ্ঠানের গড় জিপিএ মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তালিকা করা হতো। এর আগে শতভাগ পাস এবং সর্বাধিক জিপিএ’র ভিত্তিতে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা হতো। যা ২০১৫ সাল থেকে তুলে দেয়া হয়।
যেসব ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে ফলাফল: www.educationboardresults.gov.bd, ও সকল শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইট–এ পাওয়া যাবে। এর মধ্যে ফল প্রকাশের পরপরই (দুপুর ১টা থেকে) শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল (বিষয় ভিত্তিক নম্বরসহ) পাওয়া যাবে।
এছাড়া স্ব–স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে ফলাফল পাওয়া যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল ডাউনলোড পূর্বক প্রিন্ট করে আগের মতোই নোটিশ বোর্ডে টাঙিয়ে দেয়ার সুযোগ পাবেন।
মোবাইলের এসএমএস’র মাধ্যমে ফলাফল: সব অপারেটর (টেলিটক, রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও এয়ারটেল) থেকে : মেসেজ অপশনে গিয়ে SSC অথবা DAKHIL লিখে একটি space দিয়ে শিক্ষাবোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর (chi) লিখে একটি space দিয়ে পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর লিখে একটি space দিয়ে পাসের সাল লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। সংক্ষেপে : চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ক্ষেত্রে SSC (space) chi (space) Roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।
মাদ্রাসাবোর্ডের ক্ষেত্রে: Dakhil (space) Mad (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।টেকনিক্যাল (কারিগরি) বোর্ডের ক্ষেত্রে: SSC (space) tec (space) roll (space) ২০১৮ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।