শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন: নিহত বেড়ে ১৬ মিথ্যা মামলা দিয়ে মানহানীর প্রতিবাদে দিরাইয়ে সংবাদ সম্মেলন সব জাহাজ আটক: বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় গাজা ফ্লোটিলায় হামলা ইসরাইলের জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ.কে টাওয়ার হামলেট শাখার উদ্যোগে “ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনে আমাদের করণীয়” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত ফিলিপাইনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত বেড়ে ৬৯ নভেম্বর মাস থেকে টিসিবির পণ্য তালিকায় যোগ হবে পাঁচ পণ্য দিরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ: আহত অর্ধশত দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন সম্পন্ন দিরাই বাজার মহাজন সমিতির নির্বাচন আগামিকাল: প্রতি পদেই লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি হাউস অব কমন্সে সুনামগঞ্জ জেলা ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইউ.কের Inauguration and Achievement Awards Ceremony 2025 সফলভাবে সম্পন্ন

সিলেটের বিভিন্ন স্থানে নিহত ৩

নগরীর মেডিকেল রোডে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

আমার সুরমা ডটকম:

নগরীর ওসমানী মেডিকেল রোডে দুর্বত্তদের ছুরিকাঘাতে ময়না মিয়া নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। তিনি পেশায় একজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক বলে জানা গেছে। নিহত ময়না মিয়া (৩২) সুনামগঞ্জের হাসন নগর এলাকার আইনুদ্দিনের ছেলে।

রবিবার রাত পৌণে ১১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল রোডে ১নং গেইট সংলগ্ন বনফুলের সামনে হঠাৎ ময়না মিয়ার উপর হামলা চালায় দুবৃত্তরা। এ সময় এলোপাথারি ছুড়িকাঘাতে ময়না মিয়াকে গুরুতর আহত করে ফেলে পালিয়ে যায় তারা। তখন পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এস আই ফারুক। তবে, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জানাতে পারেনি।

অন্তঃস্বত্ত্বা কলেজ ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে লম্পট দেবর

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়িয়াউক গ্রামে লম্পট দেবরের দা’য়ের আঘাতে মানছুরা আক্তার সুমী (২০) নামের অন্তঃস্বত্ত্বা কলেজ ছাত্রী ভাবী নিহত হয়েছেন। সে মুড়িয়াউক পশ্চিমপাড় দেওয়ান বাড়ির ছফিল মিয়ার কন্যা ও লাখাই মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী। এ ঘটনায় সুমীর শ্বাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক বছর আগে মৃত তবারক মিয়ার পুত্র সুমির আপন চাচাত ভাই আব্দুর রশিদ লিটন (৩০)-এর সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সুমিকে উত্যক্ত করত লিটনের ছোট ভাই বুরহান উদ্দিন (২৪)। সুমি বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে বুরহানকে বারণ করে এসব না করার জন্য। বর্তমানে সুমী ৮ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা।

এদিকে বুরহান রহস্যজনক কারণে সুমীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার সাথে প্রতিনিয়ত দুর্ব্যবহার করতে থাকে। রবিবার (৪ নভেম্বর) সকালে সুমী ও লিটন খাবারের পর সুমীকে বাড়িতে রেখে লিটন স্থানীয় এক ব্যক্তির জানাজায় অংশগ্রহণ করে। এই ফাঁকে সকাল ১০টায় সুমীর কক্ষে প্রবেশ করে বুরহান দা দিয়ে কুপিয়ে সুমীকে ক্ষত-বিক্ষত করে এতে তার মাথার মগজ বের হয়ে যায়। এক পর্যায়ে সুমীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট বুরহান পালিয়ে যায়। সুমীর রক্তাক্ত দেহ খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে
নবীগঞ্জের আউশকান্দি এলাকায় সুমী মারা যায়। লাশটি পুণরায় সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সদর থানার এসআই রাজিব আহমেদ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরণ করে।

তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সুমীর মা ও স্বামীকে লাশের পাশে আঁহাজারি করতে দেখা গেছে। তারা কিছুতেই তার এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছেনা।

এ ব্যাপারে লাখাই থানার ওসি মোঃ এমরান হোসেন জানান, সুমী মারা যাওয়ার খবর শুনে বাড়িতে গিয়ে বুরহানের মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, বুরহান ও সুমীর মধ্যে স্কুল জীবন থেকেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবুও বুরহানকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

বানিয়াচঙ্গে প্রবাসির স্ত্রী হত্যার ঘটনায় এক যুবক আটক

বানিয়াচঙ্গে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত টেঁটাবিদ্ধ নারী মিনারা বেগম (৪৫) মারা গেছেন। শনিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। পুলিশ জানায়, শনিবার দুপুরে বানিয়াচং উপজেলার কাটখাল গ্রামের আইয়ুব বিন সিদ্দিকের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি জলাশয়ে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের। এ নিয়ে দুপুরে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মিনারাকে টেঁটাবিদ্ধ অবস্থায় সিলেট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর রাত সাড়ে ১২টার তার মৃত্যু হয়। নিহত মিনারা কাটখাল গ্রামের প্রবাসী আব্দুর রকিবের স্ত্রী। এদিকে মিনারা হত্যাকান্ডের পর পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে। অপরদিকে পুলিশের গ্রেফতার আতংকে গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেকই গ্রেফতার এড়াতে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদ মোবারক জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com