শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
‘শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে উলামায়ে কেরামের দায়িত্ব এবং ইসলামে নারী শিক্ষার গুরুত্ব’ র্শীষক এক সেমিনারে বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদগন বলেছেন, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলামকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা নাহলে সমাজে অস্তিরতা আরো বৃদ্ধি পাবে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট বাংলাদেশের সবোর্চচ আইন-শৃংখলা থেকে শুরু করে তৃণমুল পর্যায়ে ইসলামী বিধিবিধান পাঠ্যসুচিতে অর্ন্তভুক্ত করা উচিত। প্রাইমারি লেভেলে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে আলেমদের নিয়োগদান বাধ্যতামুলক করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন আলেমগণ।
উচ্চতর গবেষণা মুলক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামেয়াতুল খাইর আল ইসলামিয়া সিলেটের উদ্যোগে আয়োজিত সেমিনারে বক্তারা আরো বলেন, সমাজের মূলচালিকা শক্তি হলো মাতৃজাতি। তাদের বাদ দিয়ে সমাজে উন্নতি-অগ্রগতি হতে পারেনা। নারীদের শিক্ষা বষ্হিত রাখা ইসলাম সমর্থন করেনা। আল্লাহপাক নারী-পুরুষের উপর বিদ্যা অর্জন ফরজ করেছেন। তারা বলেন নারীদের শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান (র্পদা) অনুস্মরণ করে সর্বোচ্চ শিক্ষাগ্রহণ করতে বাধা নেই। খুন, ধর্ষণ বন্ধে জাতীয় শিক্ষা ব্যস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামুলক করতে হবে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে বেলা ২টায় থেকে শুরু হয়ে রাত ১০ ঘটিকা পর্যন্ত চলমান সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন শায়খুল হাদীস আল্লামা আব্দুল মুছাব্বির। জামেয়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, মাওলানা সৈয়দ মাহমুদ, মাওলানা আহমদ শামসুদ্দিনও মাওলানা আব্দুল মুক্তাদিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে উলামায়ে কেরাম বলেন, কওমি শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা। এ শিক্ষাই কুরআন হাদীসের কথা বলে জাতিকে সতর্ক করেন আলেমগণ। কারণ আলেমরা আজীবন মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছেন। তাদের ধর্মীয় কথা বলার স্বাধীনতা দিতে হবে। আলেম সমাজ তথ্য সন্ত্রাসের শিকার, কারণ তাঁদের হাতে মিডিয়া নেই। অধিকাংশ গণমাধ্যম দেশ ও জাতির সেবায় নিয়েজিত আলেমদের কোন অবদান দেখতে পায় না। অথচ এদেশের আলেমরা বিনামূল্যে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা জনগণকে দিয়ে যাচ্ছেন। আলেমরা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা চালু করেন নি। বিশেষ করে এদেশের কওমী মাদরাসার আলেমগণ সবচেয়ে কম সুবিধাভোগী হয়ে সবচেয়ে বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন জাতিকে। তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এ পথে। জাতিকে সৎপথের দিশা দেয়া অন্যায় অসত্য থেকে বাঁচানো, হিদায়াতের রাজপথ প্রদর্শন ও মানুষকে নৈতিক ও চারিত্রিক বলে বলিয়ান করা এবং মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করার মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছেন আলেম সমাজ। স্রষ্টা ও সৃষ্টির হক আদায়ে তাঁরাই আমাদের উদ্বুদ্ধ করেন।
সেমিনারে বক্তব্য রাখেন ইমাম ক্বাসিম রশিদ আহমদ, আল্লামা সায়্যিদ আশহাদ রশিদী ভারত, শায়খুল হাদীস হাফিজ মাওলানা তাফাজ্জুল হক হবিগঞ্জী, শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী, শায়খুল হাদীস মুফতি মাওলানা দিলাওয়ার হোসাইন, মুফতি আবুল কালাম জাকারিয়া, দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়র সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, শায়খুল হাদীস শিহাবুদ্দিন, শায়খুল হাদীস মুহিউল ইসলাম বুরহান, মাওলানা ইখলাছুর রহমান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন জামেয়ার আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রধান শায়খ বদরুদ্দিন আহমদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা শাহ নজরুল ইসলাম। কেরাত ও হামদ নাত পেশ করেন হাফেজ আবু রায়হান, হা. আবু তাইয়্যিব, হা. তানভির, কে এম আশরাফ, হা. মাহমুদ, মাওলানা ওয়ালিউর রহমান।
সেমিনারে বক্তারা সমাজে অশান্তি সন্ত্রাস রাহাজানি খুন ধর্ষণ বন্ধে জাতীয় শিক্ষা ব্যস্থায় ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে আহ্বান জানান। তারা আরো বলেন, আলেম সমাজ তথ্য সন্ত্রাসের শিকার, কারণ তাঁদের হাতে মিডিয়া নেই। অধিকাংশ গণমাধ্যম দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত আলেমদের কোন অবদান দেখতে পায় না। অথচ এদেশের আলেমরা বিনামূল্যে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ও প্রয়োজনীয় শিক্ষা জনগণকে দিয়ে যাচ্ছেন। আলেমরা শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা চালু করেননি। বিশেষ করে এদেশের কওমী মাদরাসার আলেমগণ সবচেয়ে কম সুবিধাভোগী হয়ে সবচেয়ে বেশি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন জাতিকে। তাঁরা তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন এ পথে। জাতিকে সৎপথের দিশা দেয়া অন্যায় অসত্য থেকে বাঁচানো, হিদায়াতের রাজপথ প্রদর্শন ও মানুষকে নৈতিক ও চারিত্রিক বলে বলিয়ান করা এবং মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করার মহান দায়িত্ব আঞ্জাম দিচ্ছেন আলেম সমাজ। স্রষ্টা ও সৃষ্টির হক আদায়ে তাঁরাই আমাদের উদ্বুদ্ধ করেন।
শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে তিনশ মার্কের ইসলাম শিক্ষা চালু করা প্রয়োজন। ১. কুরআন মাজীদের বিধি বিধানের জ্ঞান, ২. নবীজীর আদর্শ সংক্রান্ত জ্ঞান ৩. মানবাধিকার সংক্রান্ত জ্ঞান। এ রকম একটি শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে ইহ-পরজগতে ও ইহ-পরজগতে সফল করবে।