রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
গত ৯ জুন রবিবার বিকেলে মারকাজুল উলুম লন্ডনের উদ্যোগে এক সিরাতুন্নবী (সাঃ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মারকাজুল উলুম লন্ডনের প্রিন্সিপাল মাওলানা শুয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিরাতুন্নবী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মুফাচ্ছিরে কুরআন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি,শায়খুল হাদীস আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবীগঞ্জী।সম্মেলনে আরো বক্তব্যে রাখেন ব্রিটেনের বিশিষ্ট আলেম লন্ডন ইসলামিক স্কুল এর প্রেন্সিপাল মাওলানা তহুর উদ্দিন , আল হুদা সেন্টারের খতিব মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ , বিশিষ্ট মিডিয়া বেক্তিত্ব মুফতি আবদুল মুনতাকিম,বিশিষ্ট সাংবাদিক মুখলিসুর রহমান চৌধুরী,মারকাজুল উলুম মসজিদের ইমাম মাওলানা আবদুল মজিদ, ইউকে জমিয়তের সেক্রেটারি মাওলানা সৈয়দ তামিম আহমদ ,খেলাফত মজলিস ইউকের সেক্রেটারি মাওলানা শাহ মিজানুল হক, বাইতুর রহমান মসজিদের খতিব মাওলানা হাফিজ এনামুল হক,মাওলানা শায়খ ছাইদ আলী, মুফতি মুতাহির সিদ্দিক, হাফিজ হোসেন আহমদ বিশ্বনাথী, মাওলানা সৈয়দ নাঈম আহমদ, হাফিজ মাওলানা রশিদ আহমদ, হফিজ মাওলানা মুশতাক ,হাফিজ সাদিকুল ইসলাম,মাওলানা শেখ রোম্মান,মুফতি সৈয়দ রিয়াজ আহমদ,মাওলানা আমিরুল ইসলাম, বুলবুল আহমদ ও মাওলানা খালিদ আহমদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা তাফাজ্জুল হক হবীগঞ্জী বলেন, রাসুল (সাঃ) এর আদর্শ মত আমাদের জীবন গড়তে হবে। নবীর (সাঃ)উত্তরসূরি উলামায়ে কেরামের দিক নির্দেশনা মত জীবন গঠন করতে হবে। তিনি বলেন বিশ্বনবী (সা.)’র আবির্ভাব ঘটেছিল মানব জাতির এক চরম দুঃসময়ে যখন বিশ্বজুড়ে বিরাজ করছিল হানাহানি,জাতিগত সংঘাত,কুসংস্কার,অনাচার এবং জুলুম ও বৈষম্যের দৌরাত্ম্য। নারী জাতির ছিল না কোনো সম্মান। শির্ক ও কুফরির অন্ধকারে গোটা পৃথিবী হয়ে পড়েছিল আচ্ছন্ন। কিন্তু বিশ্বনবী (সা.) তাঁর শুভ জন্মের ৪০ বছর পর নবুওতি মিশন তথা ইসলামের বৈপ্লবিক নানা বাণী নিয়ে অজ্ঞ,কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং নৈতিক গুণ-বিবর্জিত মূর্তি পূজারী বর্বর আরব জাতির মধ্যে এমন পরিবর্তন সৃষ্টি করেন যে তারা মানব জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নৈতিকতাসহ নানা ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত সভ্যতা উপহার দিতে সক্ষম হয়।
পবিত্র কুরআনের ভাষায় জীবন চলার পথে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) হলেন শ্রেষ্ঠ আদর্শ বা উসওয়াতুন হাসানাহ। জীবনের সব ক্ষেত্রে এবং কখন কোথায় কী করতে হবে তা জানার শ্রেষ্ঠ উৎস হলেন মহানবী (সা)। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, আধ্যাত্মিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, আইনি ও রাষ্ট্রীয় জীবনসহ জীবনের সব ক্ষেত্রেই তিনি রেখে গেছেন মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। কথায় ও কাজে সবক্ষেত্রে বিশ্বনবী (সা)-কে অনুসরণ করাই হবে একজন প্রকৃত মুসলমানের জন্য ঈমানের দাবি। তা না হলে আল্লাহর সর্বশেষ রাসুলের রেসালতের প্রতি বিশ্বাস রাখার দাবি করাটা হবে প্রতারণা মাত্র।
তিনি বলেন জীবনের সবক্ষেত্রেই মহানবীর (সা) অনুসরণ করতে মহান আল্লাহ মুসলমানদের নির্দেশ দিয়েছেন। মহানবী কেবল তাঁর বক্তব্যে নয়, আচার-আচরণে,জনগণের সঙ্গে মেলামেশায় ও লেনদেনে,পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে আচরণে,শত্রু ও বিজাতীয়দের সঙ্গে আচরণে এবং দুর্বল ও দরিদ্র আর শক্তিশালী বা ধনীদের সঙ্গে আচরণের ক্ষেত্রসহ সবক্ষেত্রেই সর্বোত্তম আদর্শ।
মাওলানা শুয়াইব আহমদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করায় সকলের শোকরিয়া আদায় করেন এবং মারকাজুল উলুম লন্ডনে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।