বুধবার, ০২ Jul ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
সংবাদ শিরোনাম :
সমাজ ও রাষ্ট্রের দুষ্টচক্রকে নির্মূল করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে: বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী দিরাই পৌরসভার বাজেট পেশ সুনামগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় মাদকের চালান আটক দিরাইয়ের সেনা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার ৪, গুলিতে নিহত নিরীহ আবু সাইদ হেফাজতে ইসলাম মিডল‍্যান্ডস শাখা গঠন: সভাপতি মাওলানা এখলাছুর রহমান, সেক্রেটারী মাওলানা এনামুল হাসান সাবীর হত্যার হুমকির শিকার শান্তিগঞ্জ প্রেসক্লাব সদস্য, থানায় জিডি দিরাই-শাল্লার উন্নয়নে ড. শোয়াইব আহমদকে জয়যুক্ত করতে হবে: মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী আল-হক্ব ফুযালা পরিষদের নতুন কমিটি গঠন পবিত্র হজ আজ সুনামগঞ্জে প্রস্তুত অর্ধ লক্ষাধিক কুরবাণীর পশু

দিরাইয়ে হুমকির মুখে বাঁধ ও বাড়ি

amarsurma.com

মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
পাওয়ার পাম্প দিয়ে খাল শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে প্রচণ্ড হুমকিতে রয়েছে অতি জনগুরুত্বপূর্ণ একটি হাওর রক্ষা বাঁধ ও বেশ কয়েকটি বাড়ি। খালের উভয়পাড় ভাঙ্গনের ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে এর পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন। ঘটনাটি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের কাদিরপুর গ্রামে।
সরেজমিন কাদিরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের মধ্যবর্তী খালের উপর হাওর রক্ষা বাঁধ দেয়া হচ্ছে। এ খালের পূর্বপাড়ে বেশ কয়েকটি পরিবারের বসত থাকায় পাওয়ার পাম্প দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরার কারণে তাদের বাড়িঘর ভাঙ্গনের সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। বাড়ির লোকজন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আতঙ্কিত এ গ্রামের রইছ আলীর ছেলে আবু কালাম (৫০) জানান, তার মোট জায়গা হচ্ছে ২০ শতাংশ, এরমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ভাঙ্গনে ৫ শতাংশ বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট যা রয়েছে, বর্তমানে এই খালটি পাওয়ার পাম্প দিয়ে শুকিয়ে মাছ ধরার ফলে বড় ধরণের ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যার ফলে তিনি ও তার পরিবারের লোকজন চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
এছাড়াও গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে ধন মিয়া, মৃত উমর আলীর ছেলে আতর মিয়া ও মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে হামিদ মিয়া এ প্রতিবেদককে জানান, এক সময়ে এই খাল দিয়ে নৌকা চলাচল করত। প্রতিবছর অকাল বন্যায় হাওরের বোরো জমি তলিয়ে গেলে সরকার এখানে হাওর রক্ষা বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জমি রক্ষায় এগিয়ে আসে। পতিত এ খালটি প্রতি বছরই আমাদের মাদরাসার নামে লিজ দেয়া হয়। তবে যারা লিজ নেয়, তারা পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি সেচে শুকিয়ে মাছ ধরে। ফলে প্রতি বছরই এ খালের উভয়পাড়ে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এ বছর ভাঙ্গন বড় আকার ধারণ করায় আমাদের বাড়িঘর নিয়ে আতঙ্কে রয়েছি। তবে তাদেরকে এলাকাবাসি নিষেধ করলে আপাতত পাওয়ার পাম্প দিয়ে পানি তোলা বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার হাওর রক্ষা বাঁধের অত্যন্ত গুরুত্ব ও ঝুঁকিপূর্ণ ২নং পিআইসির এ বাঁধটি প্রায় সপ্তাহখানেক আগে দেবে যায়। সেখানে পুনরায় পানি দিয়ে ভরাট করছে সংশ্লিষ্ট পিআইসির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ভুক্তভোগিরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন, যাতে কেউ আর পানি শুকিয়ে মাছ ধরতে না পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com