সাইফ উল্লাহ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নে রামপুর গ্রামে সুর্যমূখী প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আব্দুল আহাদ।
বুধবার বিকেল ৩ ঘটিকায় সুর্যমূখী প্লট পরিদর্শন করা হয়েছে। বিশেষ সুত্রে জানা যায়, ফেনারবাক ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মৃত হাজী আব্দুল জলিল-এর ছেলে মো. তাজ উদ্দিন (৪৭) জামালগঞ্জ উপজেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের সহযোগীতায় নগদ ৯ হাজার টাকা, স্যার ও বীজ সহযোগীতা করেন। কৃষক মো. তাজ উদ্দিন জানান, ৩৬০ শতাংশ জমিতে সুর্যমূখী চাষ করেন, এতে আনুমানিক ব্যয় ৯৬ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, ২৫ হাজার ছাড়া লাগিয়েছি। এতে আমার বিক্রয় আসবে প্রায় ২ লক্ষ টাকা। আমার লাভ হবে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। বোর বা রবি শস্যের চেয়ে সুর্যমুখী বেশী লাভ হবে আশা করি, অগ্রাহায়ন মাসে শুরু করেছি চৈত্র মাসে ফসল উঠবে আশা রাখি।
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা পাল বলেন, জামালগঞ্জে সুর্যমূখীর প্রদর্শনী প্লটে বাম্পার ফলন হবে আশা করি। সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সস্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ সফর উদ্দিন বলেন, কৃষি খাতে সুর্যমূখী চাষে বিপ্লব ঘটবে। আমাদের আরও ৯টি প্লট রয়েছে এটা সব চেয়ে বড় প্রদর্শনী।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আব্দুল আহাদ বলেন, হাওরাঞ্চলের সাধারণ কৃষকগণ সুর্যমূখী চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যতটুকু সম্ভব সরকারী ভাবে সুর্যমুখী চাষের জন্য সহযোগীতা করা হবে। সুর্যমূখী প্রদর্শনী প্লট দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান হতে নারী-পুরুষ ভিড় জমাচ্ছেন। কৃষকরা দেখার জন্য আসছেন। হাওরের কৃষকরা সুর্যমূখী চাষে সাফল্য আনবে আশা রাখী।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বীনা রানী তালুকদার, জামালগঞ্জ কৃষি অফিসার মো. আজিজুল হক, জামালগঞ্জ মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মারজানা ইসলাম শিবনা, ফেনারবাক ইউপি চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার, ইউপি সচিব অজিত কুমান রায়সহ সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।