রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
গোলাম জিলানী, স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের রায়বাঙ্গালী গ্রামে আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় গ্রামের আটপুরিয়া ও রায়বাঙ্গালী গ্রামের মধ্যবর্তী সাটিয়ার বাঁধ নামক স্থানে এ সংঘর্ষ ঘটে।
গ্রামবাসি ও আহতদের সূত্রে জানা যায়, রায়বাঙ্গালী গ্রামের জাহির আলীর ও বুরহান উদ্দীনের নেতৃত্বে পূর্ব পরিকল্পনা মতে মালিক মিয়া ও মনু মিয়া লোকদের উপর আক্রমণ করে। এতে ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনু মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন আটপুরিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে সেলিম মিয়া (৪২), কালা মিয়ার ছেলে তাজ উল্লাহ (৫০), রায়বাঙ্গালী গ্রামের মৃত নজর মামদের ছেলে বশর মিয়া (৬৫), সুজাত মিয়ার ছেলে মারজান (১৯), শ্যাম মিয়ার ছেলে সাবেল মিয়া (২১)।
এদিকে জাহির আলীর পক্ষের আটপুরিযা গ্রামের মৃত কাচা মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া (৪০), বুরহান উদ্দিনের ছেলে শায়েখ মিয়া (৩০), মৃত আলম উল্লাহর ছেলে ছালেক মিয়া (৩৫) ও জগলু মিয়া (৩০), মৃত ছবর মিয়ার ছেলে হুসাইন মিয়া (২৫) আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, গ্রাম্য আদিপত্য বিস্তার করতে রায়বাঙ্গালী গ্রামের লোকজন প্রায়ই বন্দুকযুদ্ধসহ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হন। শুক্রবার বিকেলেও একই বিষয় নিয়ে উল্লেখিত স্থানে দেশিয় অস্ত্রে-শস্ত্রে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
গুরুতর আহত সেলিম মিয়া (৪২), তাজ উল্লাহ (৫০), বশর মিয়া (৬৫), মারজান (১৯), সাবেল মিয়া (২১)-কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রায়বাঙ্গালী গ্রামের মনু মিয়া বলেন, আমার লোকদের প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে জাহির আলী ও বুরহান উদ্দিনের লোকজন হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম জানান, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করে নি।