সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল। শনিবার দুপুরে লালমাটিয়ায় প্রকাশনা সংস্থা শুদ্ধস্বরের অফিসে হামলায় আহতদের দেখতে সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেলে যান শাকিল। আর তখনই শাহবাগে নিজের অফিসে খুন হন আরেক প্রকাশনা সংস্থা ‘জাগৃতি’ প্রকাশনীর মালিক ফয়সাল আরেফিন দীপন। দুটি প্রকাশনা সংস্থা থেকেই নিহত বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশিত হয়েছিল। ঢামেক হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের শাকিল বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আহতদের দেখতে এসেছি। যারা দেশকে অকার্যকর করতে চায়, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিই এ ঘটনা ঘটিয়েছে”। শাকিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা জলি তালুকদার এবং সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মঞ্জুর মঈনসহ প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন নেতাকর্মী পাশে ছিলেন। খুনিদের রুখতে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিগুলোর ঐক্যের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী শাকিল। যারা এসব খুন করছে তাদের প্রতিহত করতে হলে স্বাধীনতার পক্ষের সকল শক্তিকে এক হতে হবে। শাকিল একথা বলার পরপরই মঞ্জুর বলেন ওঠেন, “আপনারা কী করছেন? কোনো ঘটনাতেই কাউকে গ্রেফতার করতে পারেননি। আপনারা ব্যর্থ।” এ সময় সেখানে উপস্থিত অন্যরাও ‘আপনারা ব্যর্থ’ বলে চেঁচিয়ে ওঠেন। এরপরে কোনো কথা না বলে ঢাকা মেডিকেল থেকে বেরিয়ে যান শাকিল।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় খুন হন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখক অভিজিৎ রায়, ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতেন তিনি। অভিজিৎকে হত্যার পর অনলাইন অ্যাকিভিস্ট ওয়াশিকুর রহমান বাবু, ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয় খুন হন। শনিবার রাজধানীর লালমাটিয়া ও শাহবাগ এলাকায় অভিজিতের দুই প্রকাশকের উপর হামলার ঘটনায় প্রাণ হারালেন ফয়সাল আরেফিন দীপন।