সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে সে প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তালেবান সরকার যদি হয় কিংবা হয়েছে এবং সেটা জনগণের সরকার হলে আমাদের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে পছন্দ করে আমরা সেই সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাসী। সে দেশের মানুষের ইচ্ছায় তৈরি করা সরকারে বিশ্বাস করি আমরা। তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সেই সরকারে, যাদের দ্বারা দেশের উন্নয়ন সম্ভব; তাদের সঙ্গেই আমাদের বন্ধুত্ব। আর সেই সরকার আমাদের কাছে সাহায্য চাইলে করবো।
এর আগে সচিবালয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি জানান, আফগানিস্তানে মানুষের পছন্দের যে সরকার গঠিত হবে তার বাস্তব দৃশ্যমান হওয়া পর্যন্ত দেশটির পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর সতর্ক পর্যবেক্ষণ রাখবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, তালেবানের সরকার জগণের হলে বাংলাদেশের দরজা খোলা।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আফগানিস্তানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক অত্যন্ত সুদৃঢ়। যদিও ভাতৃপ্রতিম ওই রাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কে সা¤প্রতিক সময়ে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আমরা চাই আফগানিস্তানের জনগণের জানমালের ক্ষতি না হোক। সেখানে সক্রিয় সমস্ত রাজনৈতিক শক্তির প্রতি এটাই বাংলাদেশের আহ্বান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর আফগানিস্তানের নতুন সরকারব্যবস্থায় কোনো প্রেসিডেন্ট শপথ না নেওয়া পর্যন্ত দেশটিকে স্বাগত জানানো হবে না। বাংলাদেশ সরকার আফগানিস্তানের যেকোনো স্থিতিশীল পক্ষের সঙ্গে কাজ করবে। আমরা বলব, দেশটির পরিস্থিতি স্টিল প্রিমেচিউর। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন প্রেসিডেন্ট শপথ না নিচ্ছেন; যতক্ষণ পর্যন্ত একজন রাজা পারমানেন্ট অর্থাৎ তাদের সংবিধান অনুযায়ী চার বা পাঁচ বছরের সরকারের মেন্ডেট নিয়ে কেউ না আসা পর্যন্ত আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাতে পারি না। এটা ঠিকও হবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ভয়ের কিছু নেই। তবে আমরা সতর্ক আছি এখানে উগ্রপন্থার উত্থান ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবে। আমরা এতে অত্যন্ত সফল হয়েছি, বিশেষ করে হলি আর্টিজানের ঘটনার পর। তিনি আরো বলেন, আফগানিস্তানের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কাতার মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে।
সা¤প্রতিক সফরে কাতারে আমার কাউন্টার পার্টের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, ২০ বছর আগের তালেবান আর আজকের তালেবান এক হবে না। সেই সময়ে তারা যেসমস্ত নীতি নিয়েছিল তার অনেক কিছুই আমাদের বাংলাদেশে বা অনেক দেশের মৌলিক নীতির সঙ্গে মিল ছিল না।