শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
নতুন শিক্ষাক্রম অনুসারে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন করা হচ্ছে। জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ছুটির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখা অনুমোদন দিয়েছেন। ২০২৩ সাল থেকে নতুন এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির সদস্য (শিক্ষাক্রম) প্রফেসর ড. মশিউজ্জামান।
এনসিটিবি সূত্র জানায়, সপ্তাহে দুই দিন ছুটির বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় চাইলে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের আগেও চালু করতে পারে। পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় ২ দিন ছুটির প্রস্তাব করা হয়। গত ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে নতুন শিক্ষাক্রমের একটি রূপরেখা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপাস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই রূপরেখার খসড়ায় অনুমোদন দেন। ওইদিন দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি নতুন শিক্ষাক্রমের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০২২ সালে নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং করা হবে। আর ২০২৩ সাল থেকে পরিমার্জিত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের কারিকুলাম বাস্তবায়ন সম্পন্ন হবে। উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে ২০২৬ ও ২০২৭ সালে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র আরো জানায়, ২০২০ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রস্তাবে বলা হয়েছিল- ছুটি বাড়লেও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষতি হবে না। তাদের লার্নিং আওয়ার কমবে না। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখেই এই প্রস্তাব করা হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ কমবে বলেও জানানো হয়।
রূপরেখায় বলা হয়, জাতীয় দিবসগুলোতে বিদ্যালয় খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীদের দিবস পালনের কর্মসূচিও শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তুলনা করে রূপরেখায় জানানো হয়, ওইসিডি ও সহযোগী দেশগুলোর বাৎসরিক গড় কর্মদিবস ১৮৫ দিন। ইউরোপের ২৩টি দেশের বাৎসরিক গড় কর্মদিবস ২৮১ দিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি আন্তর্জাতিক মানদন্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।