সুনামগঞ্জের পৌর শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় ৪২০ টাকা পাওনা আদায়কে কেন্দ্র করে এক বন্ধুর ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু খুন হয়েছেন। নিহতের নাম শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে নয়ন মিয়া (২৫)। রবিবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের মেজর ইকবাল রোডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক পৌর শহরের বড়পাড়া এলাকার কাউসার আহমদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বন্ধু রেজুয়ান মিয়া ও তার আপন সহোদর রোহান মিয়াকে শহরের হাছন নগর এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলেন জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের উজানীগাঁও গ্রামের গ্রামের মো. নুরুল হোসাইনের ছেলে। নিহত ছেলেটি জেলা শহরের পুরাতন বাসস্ট্রেশন এলাকায় পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকনের কিং এন্টারপ্রাইজে চাকুরী করতেন বলে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শেখ মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ওরফে নয়ন মিয়া ও ঘাতক রেজুয়ান দুজন বন্ধু ছিলেন। একদিন রেজুয়ান তার সমস্যার কথা বলে এক সপ্তাহের জন্য নয়নের কাছ থেকে বেশ কিছু টাকা ধার নেয়। কিন্তু সেই টাকা ফেরক চাইলে সে নয়নের সাথে খারাপ আচরণ করে। পরে তাকে আজ রবিবার টাকা দিবে বলে তারিখ করে। সে অনুযায়ী নয়ন তার বন্ধু রেজুয়ানের কাছে টাকা চাইলে সে টাকা দিবে না অস্বীকার করে এবং এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হলে রেজুয়ানের অন্য বন্ধুরা নয়নকে ধরে রাখে এবং রেজুয়ান তাকে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ঘাতক বন্ধু রেজুয়ান ও রোহানকে আটক করে পুলিশ। ঘাতক দুইজনই আপন সহোদর। এ ঘটনায় পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান ও দোকানের মালিক লুৎফুর রহমান র্দূঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং খুনের আলামত সংগ্রহ করেন।
এ ব্যাপারে দোকান মালিক ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান জায়গীরদার খোকন নিহত যুবক নয়ন তার দোকানে চাকুরী করত এবং খুব ভাল একটি ছেলে ছিল বলে জানান। তাৎক্ষনিক পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানের নির্দেশে মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা শহরের হাছননগর এলাকা হতে ঘাতক দুইজনকে আটক করায় তিনি তাদের ধন্যবাদ জানান এবং ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।