আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক:
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ডনবাসের পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। মারিউপোল একেবারই চলে গিয়েছে রাশিয়ার হাতে। এমনকি, শুক্রবার লিম্যান শহরও দখল করেছে রাশিয়া। শনিবার সে খবর নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা জানিয়েছে, ‘ইউক্রেনের থেকে লিম্যান সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীন হল।’
রাতের সাংবাদিক বৈঠকে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া সর্বশক্তি দিয়ে সব সেনা, অস্ত্র নামিয়ে দিয়েছে পূর্ব ইউক্রেনে। সেভেরোডনেৎস্কও রুশ নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার অপেক্ষায়। দুই-তৃতীয়াংশ দখল করে ফেলেছে তারা। রাশিয়ার হাতে বন্দি হওয়ার মতো পরিস্থিতি আটকাতে ইতিমধ্যেই ওই শহর থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনের স্লোভিয়ানস্ক শহরে যাবার রাস্তার ওপর এই লিমানের অবস্থান, এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রেল-সংযোগস্থল। রাশিয়া যেভাবে পুরো ডনবাস এলাকার নিয়ন্ত্রণ দখল করার চেষ্টা করছে সেই প্রয়াসে এ শহরটি একটি গুরুত্বপূর্ণ টার্গেট।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একজন উপদেষ্টা ওলেক্সেই আরেস্টোভিচ বলেছেন, তাদের পাওয়া খবর অনুযায়ী তারা লিমান হারিয়েছেন, এবং রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এখন শহরটি নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি আরো বলেন, লিমানের ওপর রুশ বাহিনী যে আক্রমণ চালিয়েছে তা ছিল সুসংগঠিত। এছাড়া কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সেভারোডোনেৎস্ক এবং লিসিচানস্ক শহর দুটির চারপাশেও প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এসব এলাকায় থাকা ইউক্রেনীয় বাহিনী কোনঠাসা হয়ে পড়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।
এই শহর দুটোর ওপর প্রায় সার্বক্ষণিকভাবে গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। শহরটির মেয়র বলেছেন সেভারোডোনেৎস্কের ৬০ শতাংশ আবাসিক বাড়িঘর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। মস্কো সম্প্রতি ডনবাস অঞ্চলকে তাদের যুদ্ধপ্রয়াসের মূল কেন্দ্রে পরিণত করেছে। লুহানস্কের ৯০ শতাংশেরও বেশি এলাকা এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। অন্যদিকে ডোনেৎস্ক অঞ্চলের যুদ্ধেও রাশিয়া সম্প্রতি বড় অগ্রগতি ঘটিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি