শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস

আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস

1450202762_108082আমার সুরমা ডটকম : আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির গৌরবময় বিজয়ের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবগাঁথা বিজয় অর্জন করেছিল। এই বিজয়ের ৪৪ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ। ৪৪ বছর আগে আজকের এই দিনে ঢাকায় দখলদার পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য উদিত হয়েছিল। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছিল লাল-সবুজের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। যার সূচনা হয়েছিল ’৭১-এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের মাধ্যমে। যে ভাষণ গোটা বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার স্পৃহায় উজ্জীবিত করে তুলেছিল। আর স্বাধীনতার তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত জাতিকে স্তব্ধ করতেই ২৫ মার্চ কালরাতে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরা মেতে উঠেছিল ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকা-ে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই নির্বিচারে হত্যা করা হয় নিরস্ত্র, নিরীহ মানুষকে। সেই গণহত্যাযজ্ঞের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের ভাগ্যাকাশে নেমে এসেছিল ঘোর অন্ধকার। তবে গণহত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে সেদিন দমিয়ে রাখতে পারেনি পাক হানাদার বাহিনী। বরং ওই হত্যাকা-ের শোককে তারা শক্তিতে পরিণত করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। ১৭ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট করে গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী স্বাধীন বাংলা প্রবাসী সরকার। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে হানাদার বাহিনীর আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অবশেষে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে আনে বীর বাঙালির সাহসী সন্তানেরা। ’৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলার আকাশে দেখা দেয় স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। ঢাকার ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজির নেতৃত্বে আত্মসমর্পণ করে ৯১ হাজার ৫৪৯ হানাদার সেনা। বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে মুজিবনগর সরকারের পক্ষে গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ কে খন্দকারের উপস্থিতিতে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল জ্যাকবের তৈরি করা আত্মসমর্পণ দলিলে সই করেন পাকিস্তানের পক্ষে লে. জেনারেল নিয়াজি এবং মিত্রবাহিনীর পক্ষে লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। আর অবিস্মরণীয় সেই মুহূর্তেই বিশ্ববাসীকে অবাক করে পৃথিবীর মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাঙালি জাতি পায় লাল-সবুজের একটি জাতীয় পতাকা, জাতীয় সঙ্গীত এবং মানচিত্র। রক্তাক্ত পথ ধরে মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় অর্জন ছিল ইতিহাসের অনিবার্য পরিণতি। তাই দিবসটি উপলক্ষে আজ বিজয় উল্লাসে ভাসবে সারা দেশ। সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে নামবে জনতার ঢল। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সব প্রান্তের মানুষ অংশ নেবে বিজয় দিবসের নানা আয়োজনে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পত্রিকাগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ সাময়িকী এবং টেলিভিশনে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠান। আর দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে নানা অনুষ্ঠান। বিজয় দিবস উপলক্ষে পৃথক পৃথক বাণীতে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী। বিজয় দিবস সরকারি ছুটির দিন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হবে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার ও এতিমখানাগুলোতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে। বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ দেশবাসী এবং বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বিজয়ের চার দশক পার হলেও রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা অর্জন এবং সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতির পিতা অনুধাবন করেছিলেন স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ মূলত সেদিন থেকেই শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় নিয়েই ১৯৭১-এ এদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। স্বাধীনতার পর বিভিন্ন সময়ে আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। জনগণের মৌলিক ও মানবিক অধিকার খর্ব হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, এই মহান দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক বিজয়ের সেই গৌরবদীপ্ত সাহস, শক্তি ও চেতনা নিয়ে আমরা এগিয়ে যাব সামনের দিকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে। সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী গণতান্ত্রিক ধারা অক্ষুণœ রাখার শপথ নেওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে এক বাণীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ ভাসানী) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আজহারুল ইসলাম বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিজয় দিবসের কর্মসূচি : জাতি গঠনে স্বাধীনতার চেতনা পুনরুজ্জীবিত করতে দিবসটি সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদযাপিত হবে। এজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অনুরূপভাবে সাভারে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রিত সদস্যরা শ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে আছে সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, মিলাদ মাহফিল, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ১০টায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হবে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজ। এতে প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জাসদ, সিপিবি, ওয়াকার্স পার্টি, গণফোরামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়, বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ রাজধানীর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করবে। আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৬টা ৩৪ মিনিটে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন। শিখা চিরন্তনে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের সময় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক বিবৃতিতে বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য সকল শাখা আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সূর্যোদয়ের ক্ষণে দলের কেন্দ্রীয় ও সারাদেশের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে। সকাল ৮টায় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে। সকাল ৯টায় শেরে বাংলা নগরে দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত হবে বর্ণাঢ্য র‌্যালি। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বিকল্পধারা, এলডিপি,গণফোরাম, সিপিবি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, জেএসডি, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিজয় র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। দেশের বীর সন্তানদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানাতে জাতি অপেক্ষা করছে বিজয়ের শুভক্ষণে। তাই বিজয়ের এই ৪৫ বছরে জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ। জাতির গৌরব আর অহংকারের এ দিনটিতে সৌধ প্রাঙ্গণে ঢল নামবে লাখো জনতার। তাদের হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় ফুলে ফুলে ভরে উঠবে স্মৃতিসৌধ। এ দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তাদের টানা দুই সপ্তাহের পরিশ্রমে এক নতুন রূপ ধারণ করেছে সৌধ প্রাঙ্গণ। নানা রঙের বাহারি ফুলের চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্মৃতিসৌধের সবুজ চত্বর। চত্বরের সিঁড়ি ও নানা স্থাপনায় পড়েছে রং-তুলির আঁচড়। জাতীয় স্মৃতিসৌধের দায়িত্বরত কর্মকর্তা গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, দিনটিকে সামনে রেখে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। এছাড়া ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর পর্যন্ত জাতীয় স্মৃতিসৌধে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এদিকে এই দিনটির প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী শহীদ সৌধে ফুল দিয়ে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। তাই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে যাবতীয় গার্ড অব অনার এর মহড়া শেষ করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সৌধ এলাকায় নিরাপত্তা চৌকি, পর্যবেক্ষণ টাওয়ারসহ বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) হাবিবুর রহমান জানান, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও এর আশপাশের এলাকাজুড়ে ৩ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশের নজরদারী বাড়ানোসহ নিরাপত্তার স্বার্থে সৌধ প্রাঙ্গণের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সকালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেত্রী জাতীর বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পরপরই জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com