শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : আগামীতে ঘটবে মহাদুর্যোগ।এই মহাদুর্যোগে কয়েক কোটি লোকের প্রাণহানি ঘটতে পারে। এমনই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন ইরানের এক পরমাণু বিজ্ঞানী। ইরানী বংশোদ্ভূত এই বিজ্ঞানী বলেছেন, আগামী শরতের মধ্যে যে কোনো সময় ১০-১৬ মাত্রার একাধিক এবং এমন কী সর্বোচ্চ ২৪ মাত্রার ভূমিকম্পনও আঘাত হানতে পারে পৃথিবীতে। ফলে ভয়াবহ সুনামিতে তলিয়ে যাবে আমেরিকা মহাদেশের বিস্তীর্ণ জনপথ।
পরমাণু ইঞ্জিনিয়ার ড. মেহরান খোশের ভবিষ্যদ্বাণী যদি ফলে যায় তাহলে মেগা সুনামির তা-বে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের মহাদুর্যোগ অপেক্ষা করছে আমাদের সামনে। টুকরো টুকরো হয়ে যাবে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা। ফুঁসে ওঠা জলোচ্ছ্বাসে, ভূগর্ভে তলিয়ে, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মরবে আমেরিকা ও এশিয়া মহাদেশের ৪০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৪ কোটি মানুষ। ড. খোশে এই ভূমিকম্পকে আসন্ন হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
সম্প্রতি আমেরিকা ও কানাডার কয়েক লাখ মানুষ যোগ দিয়েছিলেন ‘গ্রেট শেইক আউট’-এ। বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কীভাবে উদ্ধারকাজ চালাতে হবে, তারই মহড়া প্রশিক্ষণ চলে সেখানে। সেই মহড়া চালার সময়ই ড. খোশের সতর্কবার্তার কথা জানানো হয়।
মেহরান খোশে ইরানি বংশোদ্ভুত পরমাণু ইঞ্জিনিয়ার। খোশের দাবি অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্নপ্রান্তে মাঝেমধ্যে ৬-৮ কম্পনের যে ভূমিকম্প হচ্ছে, তা মেগা ভূমিকম্পের শুরু মাত্র। তার কথায়, এর মধ্যেই রয়েছে আরও বড় দুর্যোগের অশনিসংকেত। আজ থেকে আগামী শরতের মধ্যে যে কোনও দিন, মেগা ভূমিকম্প সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে।
গত মাসে খোশের একটি ভিডিও রিলিজ হয়েছে। সেই ভিডিওটিতে খোশে জানান, দক্ষিণ আমেরিকাতেই এই মহাদুর্যোগের সূত্রপাত হবে। ১০ থেকে ১৬ কম্পাঙ্কের তীব্রতার বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হবে। তার মধ্যে কোনও একটি জায়গায় এই তীব্রতা ২৪ ছাড়িয়ে যাবে। যার জেরে উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ২০ মিলিয়ন বা ২ কোটি মানুষ মরবে।
তার দাবি, চীনও রেহাই পাবে না। সামনের কয়েক মাসের মধ্যে চীনে বিক্ষিপ্তভাবে বেশ কয়েকটি ভূমিকম্প হবে। দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবে জাপানও। তার হিসাবে দুই আমেরিকার মতো প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে জাপান ও চীনেও। যার জেরে ভেঙে পড়বে বিশ্ব অর্থনীতি।