মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম :
শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের গাফিলতি, হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেয়া ও আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটির সদস্যরা। এমনকি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হত্যাকাণ্ডের পর রাজনের বাবা গাড়ি চালক শেখ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান আলমের সাথে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি ও পুলিশের দালাল হিসেবে চিহ্নিত ব্যক্তিদের আপোষ রফার চেষ্টার বিষয়ও। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় পুলিশের বিভাগীয় এ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুকন উদ্দিন ৪’শ ২২ পৃষ্ঠার এ তদন্ত পতিবেদনটি পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসানের কাছে জমা দেন। তদন্ত কমিটি পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনে বেশ ক’জন পুলিশ কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের শাস্তির সুপারিশ করেছে। উল্লেখ্য পুলিশের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি ও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তদন্তে গত ১৪ই জুলাই মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুকন উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা থাকলেও সম্ভব না হওয়ায় আরও পাঁচদিন সময় বাড়ানো হয়। গত বৃহস্পতিবার ছিল প্রতিবেদন দাখিলের শেষ দিন।
এদিকে আজ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রায় আড়াই ঘন্টা মেট্রোপলিটান পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান তার কার্যালয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। তদন্ত কমিটির প্রধান সিলেট মেট্রোপলিটান পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রুকন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন প্রসঙ্গে বলেন, বিন্দু পরিমান আপস করা হয়নি।