শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : জঙ্গিবাদ দমনে নিজ নিজ এলাকার মাদরাসাগুলোর উপর নজরদারি রাখার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, এক একটি উপজেলায় ১০-১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলেও সেখানে ব্যাঙের ছাতার মত কওমি মাদরাসা গড়ে উঠেছে। সেখানে কি ধরনের লেখাপড়া হচ্ছে, কারা পড়াশুনা করে এসব বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের খোজ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। কওমি মাদরাসা নিয়ন্ত্রণে সরকার চেষ্টা করছে বলেও তিনি সংসদে জানান। কামরুল ইসলাম বলেন, কওমি মাদরাসার সবগুলো জঙ্গি তৈরির কারখানা এই কথাটা আমি বলব না। কিন্তু কিছু কিছু কওমি মাদরাসায় এই জঙ্গিদের ট্রেনিং দেয়া হয়। এমনকি যারা জঙ্গি তাদের মধ্যে অনেকে আবার ও-লেভেলে ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্র-শিক্ষকরাও আছে। বৃহষ্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের অনুপস্থিতিতে তার প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী। এর আগে, বৃহষ্পতিবার সংসদে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদি কর্মকা- নিয়ে কিছু কিছু কওমি মাদরাসাকে দায়ি করে পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কে জড়ালেন সরকারি এবং বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। এর আগে জাতীয়পার্টির কাজী ফিরোজ রশিদ প্রশ্ন করতে উঠে বলেন, কার প্রশ্ন কাকে করবো। প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আর উত্তর দিচ্ছেন খাদ্যমন্ত্রী। এর কোনো মানে হয়? এখানে কেউ নোট নেয়না। তারপরেও ঢালাওভাবে কওমি মাদরাসার ওপর দোষ দেয়া ঠিক না। এরপরও মন্ত্রী সংসদে বলেছেন কওমি মাদরাসার বিষয়ে, একমাত্র কওমি মাদরাসায় মাদক সেবন হয় না। অন্যত্রও হয়।
তারপরে তিনি প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকীকরণ দরকার। মাদ্রাসা শিক্ষাকে গতানুগতিক করে না রেখে যুগের পরিবর্তনে এ ক্ষেত্রেও উন্নতি ঘটাতে হবে। সব মাদরাসাকে একটি নীতিমালায় আনার আহ্বান জানান তিনি। অধিবেশনে সম্পূরক প্রশ্নে ঢাকা-৭ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম এই প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
হাজী মো. সেলিম বলেন, কিছু কিছু কওমি মাদরাসার কর্মকা-ের জন্য সরকারের বদনাম হতে হয়? কোন কোন জায়গায় নতুন কওমী মাদরাসা হয়ে যাচ্ছে। এইটাতে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ আছে কি না? যত কওমি মাদরাসা আছে সেগুলোকে সরকারের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করা যায় কি না?
এ সময় সংসদ অধিবেশনে শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের অপর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য যে প্রশ্নটি করলেন এটি জাতীয় ইস্যু। তিনি একটি বিরাট সেনসেটিভ প্রশ্নের উত্তর দিতে বলেছেন। এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া অত্যন্ত দুরহ। চিন্তা-ভাবনা করে উত্তর দিতে হয়। আসলে সরকার কওমি মাদরাসাগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। তার জন্য কওমি মাদরাসার জন্য একটি বোর্ড বা কমিটিও করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, আমি যতদূর জানি ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, হেফাজতে ইসলামের মাওলানা শফী সাহেবও সেই কমিটিতে আছে। এব্যাপারে তারা সিলেবাস মোটামোটিভাবে কিভাবে আধুনিকায়ন করা যায় সে ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করছে।