বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
প্রতিনিধি আবশ্যক: অনলাইন পত্রিকা আমার সুরমা ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়া হবে। আগ্রহীরা যোগাযোগ করুন : ০১৭১৮-৬৮১২৮১, ০১৭৯৮-৬৭৬৩০১
দিরাই-শাল্লার ১৩ ইউনিয়নে কে কত ভোট পেলেন

দিরাই-শাল্লার ১৩ ইউনিয়নে কে কত ভোট পেলেন

log-upমুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার : গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নতুনদের জয়জয়কার হয়েছে। চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্যসহ অধিকাংশই হচ্ছেন নতুন মুখ। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরণের নতুনত্বের স্বাধ অনুভূত হবে বলে আশাবাদ সুশীল সমাজের। তবে তারা এও বলেছেন যে, পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান, পুরুষ মেম্বার ও মহিলা মেম্বার যারা বিজয়ী হতে পারেন নি, তাদের এই ঘটনাকে শিক্ষণীয় মনে করে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করলে তাদের আগামির পথ সুগম হবে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে। আর যদি তারাও খামখেয়ালিপনা হিসেবে বিষয়টিকে গুরুত্ব না দেন, তবে আগামি দিনে বর্তমান পরাজিতদের মতো ভাগ্যবরণ করতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি প্রদান করেন।
দিরাই ও শাল্লা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে পাওয়া তথ্য মতে দেখা গেছে, ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে বর্তমান অনেক চেয়ারম্যানের জামানত পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত হবে, যা সত্যিই দু:খজনক। সূত্র মতে, দিরাই উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীতপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজওয়ান খান (নৌকা)। তার নিকচতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী (আনারস)। তার প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৩ হাজার ৫০টি। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মহসিন রেজা (ঘোড়া) পেয়েছেন ২ হাজার ৭১১ ভোট, বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মোঃ আনিছুর রহমান (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬১ ভোট ও স্বতন্ত্রপ্রার্থী মামুন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৮৩৪ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯১১ জন, এরমধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ৬৬২ জন, নারী ৮ হাজার ২৪৯ জন। রফিনগর ইউনিয়নে মোট ৫৫টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬টি, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭টি, সংরক্ষিত আসনে ১২টি।
ভাটিপাড়া ইউনিয়নে ৩ হাজার ৮০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী স্থানীয় সংসদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের অনুসারি শাহজাহান কাজী (মোটর সাইকেল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীতপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), তার প্রাপ্ত ভোট হচ্ছে ৩ হাজার ১৬৭টি। এছাড়া বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মোঃ আফজল হোসেন (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৮৫২ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আলমগীর বক্ত চৌধুরী (আনারস) পেয়েছেন ৬৩৯ ভোট ও বেলাল আহমেদ (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৭৮ জন, পুরুষ ৬ হাজার ৭৫১ জন, নারী ৬ হাজার ৬২৭ জন। ভাটিপাড়া ইউনিয়নে মোট ৪১টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬টি, সাধারণ সদস্য পদে ২৫টি, সংরক্ষিত আসনে ১০টি।
রাজানগর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীতপ্রার্থী সৌম্য চৌধুরী সমু (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নওশেরান চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ১৭১ ভোট। এছাড়া বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী জুনায়েদ মিয়া (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪১ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে জহিরুল ইসলাম (চশমা) পেয়েছেন ২ হাজার ৫৭ ভোট, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হক তালুকদার (আনারস) পেয়েছেন ৮৫৫ ভোট, মোঃ রুনু মিয়া সর্দার (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৯১৮ জন, পুরুষ ৮ হাজার ৫১৬ জন, নারী ৮ হাজার ৪০২ জন। রাজানগর ইউনিয়নে মোট ৬২টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪৩টি, সংরক্ষিত আসনে ১২টি।
চরনারচর ইউনিয়নে ৬ হাজার ৬৩১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী রতন কুমার দাস (ধানেরশীষ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী পরিতোষ রায় (নৌকা) পেয়েছেন ৬ হাজার ১শত ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে পরেশ লাল দাস (আনারস) পেয়েছেন ৯৯২ ভোট ও শাহিন সুলতান তালুকদার শাহজাহান (ঘোড়া) পেয়েছেন ৮৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৪৩০ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৩২৬ জন, নারী ৯ হাজার ১০৪ জন। চরনারচর ইউনিয়নে মোট ৬৩টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪৫টি, সংরক্ষিত আসনে ১৪টি।
দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়নে ২ হাজার ৬৮২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান এহসান চৌধুরী (আনারস)। তার নিকচতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ২ হাজার ৫১২ ভোট। এছাড়া আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী কানুলাল দাস (নৌকা) পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ ভোট, স্বতন্ত্র হিসেবে মহানন্দ দাস (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৯ ভোট ও জাসদের মনোনীতপ্রার্থী কৃষ্ণকান্ত রায় (মশাল) পেয়েছেন ১৫১ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১০ হাজার ৫৯০ জন, পুরুষ ৫ হাজার ২১৪ জন, নারী ৫ হাজার ৩৭৬ জন। দিরাই সরমঙ্গল ইউনিয়নে মোট ৫৩টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫টি, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬টি, সংরক্ষিত আসনে ১২টি।
করিমপুর ইউনিয়নে ৪ হাজার ৬৩৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আছাব উদ্দিন সরদার (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রর্থিী হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শাহজাহান সরদার (আনারস) পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩৮ ভোট ও বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মোঃ আব্দুর রহিম (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৩ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭ হাজার ২৮৬ জন, পুরুষ ৮ হাজার ৭৭০ জন, নারী ৮ হাজার ৫১৬ জন। করিমপুর ইউনিয়নে মোট ৫৩টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩টি, সাধারণ সদস্য পদে ৩৭টি, সংরক্ষিত আসনে ১৩টি।
জগদল ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯১৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী শিবলী আহমেদ বেগ (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী মোঃ হুমায়ুন রশিদ (নৌকা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৭১ ভোট। এছাড়া বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী মোঃ কামরুল ইসলাম (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৭৭১ ভোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেএম তোফায়েল আহমদ (খেজুরগাছ) পেয়েছেন ৮৫৫ ভোট ও ইসলামি আন্দোলনের মোঃ সোলাইমান হাসান (হাতপাখা) পেয়েছেন ৩১৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৫৯৪ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৭৫৩ জন, নারী ৯ হাজার ৮৪১ জন। জগদল ইউনিয়নে মোট ৬৯টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫টি, সাধারণ সদস্য পদে ৫৪টি, সংরক্ষিত আসনে ১০টি।
তাড়ল ইউনিয়নে ২ হাজার ৩৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে মোঃ আব্দুল কদ্দুছ (টেলিফোন)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আকিকুর রেজা (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ২ হাজার ১৯০ ভোট। এছাড়া আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী আহমদ চৌধুরী (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ১৬ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে দ্রুপদ চৌধুরী নুপুর (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ৪২৩ ভোট, বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী আলী আহমদ (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরুল হক তালুকদার (চশমা) পেয়েছেন ৭৯১ ভোট, রুহুল আমীন (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩১২ ভোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হাজী গিয়াস উদ্দিন (খেজুরগাছ) পেয়েছেন ৯৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৮৯৭ জন, পুরুষ ৬ হাজার ৮৭৭ জন, নারী ৭ হাজার ২০ জন। তাড়ল ইউনিয়নে মোট ৬১টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪০টি, সংরক্ষিত আসনে ১৩টি।
কুলঞ্জ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৫৩৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী প্রবাসি নেতা মোঃ মুজিবুর রহমান (ধানেরশীষ)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে পবিত্র মোহন দাস (টেলিফোন) পেয়েছেন ২ হাজার ২৬৩ ভোট। এছাড়া মোঃ একরার হোসেন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ২ হাজার ২৪১ ভোট, আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী মিলন মিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ২ হাজার ১২৯ ভোট, স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ আহাদ মিয়া (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৭২৩ ভোট, মোঃ মিজবাহ উজ্জামান চৌধুরী (আনারস) পেয়েছেন ১ হাজার ২৪৭ ভোট ও কাওছার গাজী চৌধুরী (চশমা) পেয়েছেন ১ হাজার ২১৯ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ১৩৯ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৪৩৭ জন, নারী ৯ হাজার ৭০২ জন। কুলঞ্জ ইউনিয়নে মোট ৬৯টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪৭টি, সংরক্ষিত আসনে ১৫টি।
এদিকে শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮৪৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী বিধান চন্দ্র চৌধুরী (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে নরেশ চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৫ ভোট ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ৩৬২ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৯১ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৩৭৫ জন, নারী ৯ হাজার ৬১৬ জন। বাহারা ইউনিয়নে মোট ৬৮টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪৯টি, সংরক্ষিত আসনে ১৫টি।
হবিবপুর ইউনিয়নে ৭ হাজার ২৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস (ঘোড়া) পেয়েছেন ৬ হাজার ৪৬৪ ভোট ও বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী শৈলেন কুমার দাস (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ১ হাজার ৪১৪ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ হাজার ৯৫৪ জন, পুরুষ ৯ হাজার ৯৭৪ জন, নারী ৯ হাজার ৯৮০ জন। হবিবপুর ইউনিয়নে মোট ৭৬টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪টি, সাধারণ সদস্য পদে ৫২টি, সংরক্ষিত আসনে ২০টি।
আটগাঁও ইউনিয়নে ৪ হাজার ৩৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী আবুল কাসেম আজাদ (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৯ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে খুরশেদ মিয়া (আনারস) পেয়েছেন ২ হাজার ১৮৩ ভোট, বিএনপির বিদ্রোহীপ্রার্থী হিসেবে নজরুল ইসলাম (চশমা) পেয়েছেন ২ হাজার ১০৬ ভোট, জুবায়ের মনির (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৬২১ ভোট, জাকির হোসেন (মোটর সাইকেল) পেয়েছেন ৯২০ ভোট, সেলিম উদ্দিন (টেলিফোন) পেয়েছেন ৭১৮ ভোট, ফজলুর রহমান (দুটিপাতা) পেয়েছেন ৫৭৫ ভোট, হাজিরুল ইসলাম (টেবিলফ্যান) পেয়েছেন ৩৪৬ ভোট ও আব্দুর রহমান (ঢোল) পেয়েছেন ১৩৬ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২০ হাজার ৯৮২ জন, পুরুষ ১০ হাজার ৫২৫ জন, নারী ১০ হাজার ৪৫৭ জন। আটগাঁও ইউনিয়নে মোট ৭৩টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১১টি, সাধারণ সদস্য পদে ৫১টি, সংরক্ষিত আসনে ১১টি।
শাল্লা ইউনিয়নে ৪ হাজার ৯১৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী জামান চৌধুরী ফুল মিয়া (আনারস)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামীলীগের মনোনীতপ্রার্থী আব্দুল ছত্তার মিয়া (নৌকা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮০ ভোট। এছাড়া স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুলেইছ চৌধুরী (ঘোড়া) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩০৩ ভোট ও বিএনপির মনোনীতপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ (ধানেরশীষ) পেয়েছেন ৩৪২ ভোট। সর্বশেষ এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৮৭০ জন, পুরুষ ৮ হাজার ৪৬২ জন, নারী ৮ হাজার ৪০৮ জন। শাল্লা ইউনিয়নে মোট ৬৪টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৪টি, সাধারণ সদস্য পদে ৪৪টি, সংরক্ষিত আসনে ১৬টি।
সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপত্র জমা দানের শেষ দিন পর্যন্ত দিরাই-শাল্লায় জমা পড়েছে মোট ৮০৭টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৭৪টি, সাধারণ সদস্য পদে ৫৬০টি, সংরক্ষিত আসনে ১৭৩টি। সূত্র মতে, দিরাই উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৫২৬টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫১টি, সাধারণ সদস্য পদে ৩৬৪টি, সংরক্ষিত আসনে ১১১টি। শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ২৮১টি, এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৩টি, সাধারণ সদস্য পদে ১৯৬টি, সংরক্ষিত আসনে ৬২টি। সূত্র আরো জানায়, দিরাই-শাল্লায় ১৩ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দলীয়প্রার্থী ১৩ জন, বিএনপির ১২ জন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ৩ জন, ইসলামি আন্দোলনের ১ জন, জাসদের ১ জন, স্বতন্ত্র হিসেবে ৩৬ জন, আওয়ামীলীগ ও বিএনপির বিদ্রোহীপ্রার্থী ৭ জন।
সংশ্লিষ্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন তালুকদার ঋণখেলাপির দায়ে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিস। এছাড়া একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তাপস রঞ্জন তালুকদার ও করিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোঃ আব্দুল ওয়ারিছ মিয়াকেও একই কারণে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে ২৫ বছরপূর্ণ না হওয়ার কারণে সরমঙ্গল ইউনিয়নের সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বারপ্রার্থী সোহানী বেগম, ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের প্রবীর চন্দ্র দাস ও চরনারচর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী নাজিম উদ্দিনের মনোনয়নও অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে নৌকা প্রতীক চেয়েছিলেন আবুল হাসনাত। কিন্তু দলের পক্ষ থেকে প্রত্যয়ন না থাকা ও ঋণখেলাপির কারণে তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। একই উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী দবির মনির ৫ হাজার টাকার ট্রেজারি চালানের পরিবর্তে ১ হাজার টাকা জমা দেয়ায় তারও মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১২ মে ২০১৬ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে প্রার্থীদের মধ্যে প্রত্যাহারের শেষ দিনে মোট ১২ জন তাদের মনোয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত আসনের মহিলা মেম্বার পদে ২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৭ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। সূত্র জানায়, দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্রপ্রার্থী মাহবুব বক্ত চৌধুরী, রাজানগর ইউনিয়নে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ মনোনীতপ্রার্থী মোঃ আব্দুর রউফ তালুকদার ও শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহীপ্রার্থী কাজল কান্তি চৌধুরী। এছাড়া দিরাই উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ৫ জন, সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ জন এবং শাল্লা উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ২ জন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ১ জন তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক পঞ্চম পর্যায়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। তফসিল অনুযায়ি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩ মে মঙ্গলবার, মনোনয়নপত্র বাছাই ৪ ও ৫ মে বুধ-বৃহস্পতিবার, আপিল দাখিল ৬ ও ৮ মে শুক্র-রোববার, আপিল নিষ্পত্তি ৯ ও ১১ মে সোম-বুধবার, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ ১২ মে বৃহস্পতিবার, চুড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্ধ ১৩ মে শুক্রবার ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ মে ২০১৬ শনিবার।

নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017-2019 AmarSurma.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com