শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: কুলাউড়া পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে সোমবার ৩ শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের স্বজনেরা কুলাউড়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের কোনো সন্ধান পাওয়া জায়নি বলে জানা গেছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন, কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের কুলাউড়া গ্রামের পপি চন্দ (১৩), আয়শা আক্তার রিয়া (১৩) এবং কুলাউড়া পৌর শহরের আহমদাবাদ এলাকার রানা ঢালি (১৩)। পপি ও আয়শা কুলাউড়া পৌর শহরে অবস্থিত রাবেয়া আদর্শ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণি ও রানা ঢালি নবীন চন্দ্র উচ্চবিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। পুলিশ জানায়, পপি ও আয়শা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দুপুরের দিকে বাসা থেকে বিদ্যালয়ের উদ্দেশে বের হয়। এরপর তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি এবং বাড়িতেও ফেরেনি।
অপরদিকে রানা বিকাল চারটার দিকে খেলাধুলা করতে বাসা থেকে বের হয়। কিন্তু পরে সে আর ফেরেনি। তার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোন সন্ধান পাননি। পপি ও আয়শার অভিভাবকেরা গতকাল সোমবার রাতে এবং রানার স্বজনেরা আজ মঙ্গলবার সকালে জিডি করেন।
রাবেয়া আদর্শ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুস সালাম বলেন, পপি ও আয়শাকে তাদের সহপাঠীরা পরীক্ষা শুরুর আগে বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে হাঁটাহাঁটি করতে দেখেছে। কিন্তু পরে তারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। এ ব্যাপারে সহপাঠীদের কিছু তারা বলেনি।
কুলাউড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, এলাকার বাজে ছেলেদের সঙ্গ এড়িয়ে চলতে রানাকে তাঁর বাবা শাসন করেছিলেন। এ কারণে সে অভিমানে পালিয়ে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আর পপি ও আয়শার বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো তিন শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে রানার বাবা ছেলেকে শাসনের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ কারণে রানা পালিয়ে যাবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
আর পপির বাবা ক্ষিতিশ চন্দ ও আয়শার মা কমলা বেগম মুঠোফোনে বলেন, তারা সন্তানদের কোনো কারণে বকাঝকা করেননি। তারা সন্তানদের সন্ধানে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন।