মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৫ অপরাহ্ন
এমএম ইলিয়াছ আলী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ: পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামন রেখে শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ সুনামগঞ্জে জমে উঠেছে পশুর হাট। গরু-ছাগল কিনতে এখন ক্রেতারা ছুটছেন বিভিন্ন হাটে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া বাজার, ভমভমি বাজার ও অস্থায়ী পশুর হাট জিবদাড়া বাজার, মিনা বাজার পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কোরবানীর পশুর হাটের ক্রেতা-বিক্রেতার নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ ইজারাদার তাদের নিজেদের লোকজন দিয়ে বাড়তি নজরদারী রাখছেন। এবার কোরবানীর হাটে ছোট-মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা থাকলেও দাম নেই বড় গরুর। আবার ছাগলের মধ্যে খাসির দাম একটু বেশি। বিগত বছরের তুলনায় এবার গরু-ছাগলের দাম কিছুটা বেশি। তাতে সন্তুষ্ট নয় অনেক পশু ব্যবসায়িরা। বিক্রেতাদের দাবি, বেচাকেনা ভাল থাকলেও তেমন একটা লাভ হচ্ছেনা তাদের। তবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে, ক্রেতাদের সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে ধর্মীয় কাজটি সমাধা করতে পশু কিনতে ভিড় জমাচ্ছে পশুর হাটে। রোববার সরেজমিন পাথারিয়া বাজারে গিয়ে দেখা গেছে হাটে প্রচুর ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়। কেনাবেচা হচ্ছেও প্রচুর। এরমধ্যে দেশিয় গরুর সংখ্যাই বেশি।
বাজার ইজারাদার ও গরু ব্যবসায়ি সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাশাপাশি জগন্নাথপুর, দিরাই, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাথারিয়া, ভমভমি, আক্তাপাড়া ও জিবদাড়া বাজারে দেশি পশু উঠেছে। হাটে ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত গরুর দাম চাইছে বিক্রেতারা। এছাড়া ২০ হাজার টাকা থেকে ৪৮ হাজার টাকা মূল্যে বেশি গরু বিক্রয় হয়েছে। ছাগলের তুলনায় খাসি বিক্রয় হয়েছে বেশি। তবে দাম যাই থাকুক না কেন, কোরবানী দাতাগণের লক্ষ্য হাসিল করে অনেককে গরু-ছাগল কিনে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে চান। গাজীনগর গ্রামের প্রবাসি জাহেদুল ইসলাম দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি হাটে ঘুরে দেখেছেন গরুর দাম গতবারের তুলনায় এবার একটু বেশি। তার সাধ এবং সাধ্য ৫০ হাজার টাকার মধ্যে কোরবানীর গরু কেনা। দিরাই উপজেলার এক বিক্রেতা জানান, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি। প্রথমদিকে ক্রেতা কম থাকায় আমরা গরু বিক্রি করতে পারিনি। তাই শেষ মুহূর্তে একটু কম দাম পেলেও গরু বিক্রি করবো।
দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইবাদত হোসেন জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি বাজারে পুলিশ মোতায়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি জাল টাকা চিহ্নিত করা জন্য বিশেষ টিম নিয়োজিত রাখা হয়েছে এবং বিশৃংখলা এড়ানোর জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে টহল জোর করা হয়েছে।