শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: দিরাইয়ে মসজিদের জায়গা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় দিরাই থানায় দায়ের কৃত মামলার হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে আদালতে পাঠিয়েছেন একজন এজহারভূক্ত আসামিকে, তিনি চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে সালেহ উদ্দিন (৫৮)।
দিরাই থানায় দায়ের করা মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্র“য়ারি সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার লঞ্চঘাট রোডের মজির উদ্দিন সেনেটারি দোকানে একটি হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হাজী মজির উদ্দিনের ছেলে মোঃ হারুন অর রশিদ বাদি হয়ে সালেহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক দিরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০২, তারিখঃ ০১/০৩/২০১৮, ধারা-১৪৩/৪৪৮/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৮০/৪২৭/১১৪ দণ্ডবিধি।
সূত্র মতে, গত ২৮ ফেব্র“য়ারি বুধবার অনুমান সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মামলার ১নং স্বাক্ষী চণ্ডিপুর গ্রামের মৃত হাজী কবির উদ্দিনের ছেলে হাজী মজির উদ্দিন মাগরিবের নামায শেষে লঞ্চঘাট রোডস্থ মজির উদ্দিন সেনেটারি দোকানে বসে সারাদিনের বিক্রির টাকার হিসেব করছিলেন। এ সময় ১নং আসামি গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে সালেহ উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিগণ রামদা, রড ও অন্যান্য দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রাণে মারার জন্য হামলা চালায়। এ হামলায় গুরুতর আহত হন হাজী মজির উদ্দিন, তার ছেলে নজরুল ইসলাম, মৃত মাওলানা খলিল উদ্দিনের ছেলে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন, মৃত হাফিজ উদ্দিসের ছেলে মিজান মিয়া প্রমুখ। এছাড়া এজহারভূক্ত ২নং আসামি দোকানের ক্যাশ থেকে দেড় লক্ষ টাকা জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়া ও দোকানের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের কারণে আরো ১৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলেও অভিযোগ করা হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ আদালতে এই মামলার হাজিরা দিতে গেলে উভয়পক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত এজহারভূক্ত ১নং আসামি সালাহ উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে মামলায় উল্লেখ করা হয়, অনেক দিন আগে দিরাই বাজারে বহুল আলোচিত বক্কু হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করেন এই মামলার এজহারভূক্ত ১নং আসামি সালেহ উদ্দিনের পিতা আব্দুল হাসিম এবং অন্য আসামিগণও দিরাইয়ের প্রথম রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড নান্টু হত্যা মামলার আসামি। তাছাড়া ইয়াবা বিক্রির অভিযোগে দিরাই থেকে ২নং আসামি কলিম উদ্দিনকে র্যাব গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং কিছুদিন জেলে থাকার পর বর্তমানে সে জামিনে আছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়।
দিরাই থানার অফিসার ইন-চার্জ মোঃ মোস্তফা কামাল সালেহ উদ্দিনকে জেল হাজতে পাঠানোর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।