রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডি.লিট) উপাধি পেলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২৬ মে) দুপুরে এক বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তাকে সম্মানসূচক এ ডিগ্রি দেওয়া হয়।
শোষণমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে এবং গণতন্ত্র, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং অার্থ সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নে অসাধারণ ভূমিকা রাখায় তার স্বীকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি সাধন চক্রবর্তী শেখ হাসিনাকে ডি. লিট দেওয়ার ঘোষণা দেন৷ আরও উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বাংলা সরকারের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি।
বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীসহ বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক অঙ্গনের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন।
এর অাগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশষ ফ্লাইটে নেতাজি সুভাস চন্দ্র বসু এয়ারপোর্ট থেকে দুর্গাপুর কাজী নজরুল বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন৷ বেলা ১১টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে সড়কপথে বেলা ১২টার দিকে অাসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছান৷ এসময় বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি তাকে স্বাগত জানান।
আসানসোল থেকে কলকাতায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। জাদুঘর পরিদর্শন শেষে হোটেল তাজ বেঙ্গলে ফিরে আসবেন। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে এক ঘণ্টা দু’জনের একান্ত আলাপচারিতার জন্য রাখা হয়েছে।
সূত্র জানায়, শেষ মুহূর্তে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক নির্ধারিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার (২৫ মে) দু’দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গে যান। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ও বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করতে সকালে কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শান্তিনিকেতনে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
সমাবর্তন অনুষ্ঠান শেষেই শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
পরে এই ‘বাংলাদেশ ভবনেই’ বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ-ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী। এরপর শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকেলেই কলকাতা ফেরেন। বিকেলে তিনি কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি ঘুরে দেখেন।