সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন
চান মিয়া, বিশেষ সংবাদদাতা (সুনামগঞ্জ): সুনামগঞ্জের ছাতকে তালিকায় নাম থাকার পর ১০ টাকা কেজির চাল না পেয়ে নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছে ৩০ জন হতদরিদ্র উপকারভোগি। পরে আইনগত প্রতিকার চেয়ে উপজেলার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। জানা যায়, কালারুকা ইউনিয়নের ডিলার জাহাঙ্গীর আলমের সাব-ডিলার উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মচারি আব্দুল আউয়াল ৭নং ওয়ার্ডের ৩০ জন উপকারভোগিকে নানা অজুহাতে চাল না দিয়ে খালি হাতে ফেরত দেন। এতে হতদরিদ্র লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের বোবরাপুর গ্রামের মৃত জাহির আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা, মৃত আইয়ূব আলীর ছেলে আখল আলী, মৃত মনোহর আলীর ছেলে ফয়েজ আলী, মৃত মখলিছ আলীর ছেলে নূর উদ্দন, মৃত আসলম আলীর ছেলে কাঁচা মিয়া, মৃত সাদক আলীর ছেলে ফয়ছল আহমদ, মৃত রাহিম আলীর ছেলে শুকুর আলী ও আলা উদ্দিন, আঞ্জব আলী ছেলে আব্দুস শহীদ, আকলুছ আলীর স্ত্রী আফরোজুন নেছা, মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে বসির আলী, মৃত আজর আলীর ছেলে করম আলী, মৃত সিদানীরাম দাসের ছেলে মো. ইসলাম খা, মৃত হারিছ আলীর ছেলে ছৈয়দুর রহমান, আরতানপুর গ্রামের আব্দুল মালিকের স্ত্রী চটকমালা, আলীম উদ্দিনের স্ত্রী সাহানারা বেগম, মৃত এরশাদ আলীর ছেলে আবুল কালাম, মৃত খলিছুর রহমানের স্ত্রী মিছিরা বেগম, মৃত হাসিম আলীর ছেলে ফজর আলী, মৃত মজমিল আলীর ছেলে আব্দুল মজিদ, মৃত ওয়াহাব আলীর ছেলে আব্দুল হাই আজাদ ও সিকন্দরপুর গ্রামের জহির মিয়ার ছেলে কছির মিয়া, মৃত রইছ আলীর ছেলে ফখর উদ্দিন, শুকুর আলীর ছেলে নূর আলমসহ ৩০ জন উপকারভোগি চাল না পেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, সাব-ডিলার আব্দুল আউয়াল ইউপির ৩, ৪, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ড এবং ৬নং ওয়ার্ডের আংশিক এলাকায় তিনি চাল বিক্রির দায়িত্বে রয়েছেন। এরই ধারাবাহিতায় এসব এলাকায় অনেক ক্রেতা চাল প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। কাগজেপত্রে ডিলার হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের নাম থাকলেও ক্রেতারা আব্দুল আউয়ালের কাছ থেকেই চাল ক্রয় করছেন। এ ব্যাপারে আরতানপুর গ্রামের আব্দুল হাই আজাদ বঞ্চিতদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সাব-ডিলার আব্দুল আউয়াল বলেন, নতুন তালিকায় ৩০ জনের নাম বাদ পড়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) নতুন এই ৩০ জনকে চাল দেয়া হবে। নাম রাখা এমনকি বাদ দেয়ার এখতিয়ার ডিলারের নয়, ইউনিয়ন পরিষদের। ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার কবির আহমদ বলেন, চাল বিক্রির ক্ষেত্রে ব্যাপক স্বজনপ্রীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তিনি তালিকা মোতাবেক গরিবের হাতে চাল পৌছে দিতে আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন বলে জানান। উপজেলা খাদ্য অফিসার শাহাব উদ্দিন জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।