শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩ অপরাহ্ন
জামান সরকার, হেলসিংকি (ফিনল্যান্ড) :
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। একমাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে শুক্রবার উদযাপন করেছে ঈদুল ফিতর। শাওয়ালের এক ফালি চাঁদ যে ডালি ডালি খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে, সবাই নতুন পোশাক পরেছে। সবাই তো এই দিনটির প্রতীক্ষায় ছিল এতদিন। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হল ১৭ই জুলাই শুক্রবার। ফিনল্যান্ডের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা উৎযাপন করল ঈদ-উল-ফিতরের। গ্রীষ্মের মাঝামাঝি প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ফিনল্যান্ডে প্রবাসী বাংলাদেশী ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সমবেত হয় ঈদের জামাতে। ইসলামি রীতি অনুযায়ি রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসি বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান জামাত দুইটি অনুষ্ঠিত হয়েছে সকাল ৯টায় কনতুলার রিনতি পলকু স্কুল মিলনায়তনে ও হাকানিয়েমীর মেরী হাকা পাল্লোহাল্লিতে।
হাকানিয়েমীতে ইমামতি করেন হেলসিংকির দারুল আমান মসজিদের খতিব মোঃ আবদুল কুদ্দুস খান ও কনতুলার জামাতে ইমামতি করেন মোঃ বশির আহমেদ। ঈদের জামায়াত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। ফিনল্যান্ডের সর্বস্তরের প্রবাসি বাংলাদেশিরা এ জামাতে দুইটিতে অংশ নেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিমন চৌধূরী, নাজমুল হুদা, জহুরুল ইসলাম সিকদার, কামরুল আলম কমল, রফিকুল হায়দার টিপু, নাসির খান, আনোয়ার হোসেন খান, মবিন মোহাম্মদ, আতাউর রহমান খান, আকরাম, ডঃ মঞ্জুর রহমান, আব্দুল হান্নান, হারুন, এমএ মান্নান, স্বপন মুজিবুল্লাহ, বদরুম মুনীর ফেরদৌস, মিজানুর রহমান মিঠু, মোস্তফা আজাদ বাপি, খালেদুল ইসলাম জিতু, মঞ্জুর রহমান, নাসির উদ্দিন মজুমদার, আতাউর রহমান রুহেল, হাদি, হাসান, শাকিল, আনিসুর বড়, আনিস ছোট, রমজান আলী, জামান সরকার মনির, তাপস, গাজী সামসুল আলম, নিজাম, মাসুদ আবদুল্লাহ, সাহিন মোহাম্মদ, ফাহমিদ, টুলু, মঞ্জু, আরজু, তারিক, আনোয়ার হোসেন, মোস্তাক, লিটন, ডঃ এমএ জহির, রনি, রশিদ, কামাল, তানভীর, রাসেল, জনি, নজরুল, গিয়াস, শিপু, আফসার, হাসিব, টুলু, পিটু, সপনিল, তুহিন প্রমুখ।
এদিকে ফিনল্যান্ডে বরাবরের মত এবারেও বাঙালীদের ঈদ উৎসবে ছিল বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার। একে অপরের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়া, মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবারের ও আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজখবর নেওয়া ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে ৩-৪ দিন চলতে থাকবে।