শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
মুদ্রণ ও প্রকাশনা আইন অমান্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে লেখা ‘রাজবন্দির জবানবন্দি’ পুস্তিকার প্রায় পাঁচশ কপি জব্দ করেছে র্যাব।
বাহিনীটি বলছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া যে জবানবন্দি দিয়েছিলেন সেটি আদালতের অনুমতি ছাড়াই পুস্তিকা আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। এ জন্যই তারা ব্যবস্থা নিয়েছে।
এই ঘটনায় আটকও হয়েছে দুইজন। তারা হলেন: আব্দুর রহমান নুর ওরফে রাজন মোল্লা ও মেহেদি আরজান ইভান।
বুধবার দুপুরে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক কাইয়ুমুজ্জামান খান।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, সিলেটের একটি প্রকাশনা থেকে পুস্তিকাটি ছাপানো হয়। সেটি এসএ পরিবহনের মাধ্যমে রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি বড় কার্টুন থেকে ৪৮৫টি বই উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক বলেন, আটক দু্ইজন জানিয়েছেন, আদালত এবং বিচার বিভাগ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্যই এই বই প্রকাশ করা হয়েছে।
আটক দুইজনই অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাইবার অ্যানালিস্ট। তারা বিভিন্ন সময় উস্কানিমূলক পোস্ট দিতেন বিভিন্ন গ্রুপে।
বইটির সম্পাদনা পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপচার্য বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দিন আহমদের নাম আছে। সহ-সম্পাদক হিসেবে মেহেদী আরজান ইভান। নির্বাহী সম্পাদক আব্দুর রহমান নুর রাজন ও উপ-সম্পাদক মঞ্জুর রহমান ধ্রুব।
বিশেষ কৃতজ্ঞতায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও কৃতজ্ঞতা সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন, খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, বিএনপি নেতা সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শহিদুল ইসলাম বুলবুল, রুমিন ফারহান ও মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের নাম রয়েছে।
কারাদণ্ড হওয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর আদালতে লিখিত জবানবন্দি দেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও তাকে সাজা দেয়া হতে পারে বলে শঙ্কার কথা বলেন।
এই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা হয়েছে। এই কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল শুনানি চলছে।
এই মামলার পাশাপাশি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলাতেও খালেদা জিয়ার বিচার শেষ দিকে। শেষ আসামির যুক্তি উপস্থাপন চলছিল বিএনপি নেত্রী কারাগারে যাওয়ার আগে। তবে তিনি বন্দী হওয়ার পর আর আদালতে হাজির হননি। ফলে মামলাটির রায় আটকে আছে।