শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৮ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের তেলেসমাতি থামছে না। অভিযোগ, মামলা, নানা ঘটনার পরও নতুন নতুন অনিয়মের তথ্য প্রকাশ হচ্ছে। এই পরিষদের সরকারি চাল নিয়ে চালবাজী কবে শেষ হবে তাই এখন আলোচনার বিষয়।
মৃত ব্যক্তি ও প্রবাসে থাকা লোকজনের নামেও সরকারি চাল উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ও ইউপি সদস্য রইছ মিয়ার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ করেছেন বেতকোনা গ্রামের মৃত মীরবক্স আলীর ছেলে আবদুর রউফ।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সফি উল্লাহ।
জানা যায়, ভিজিএফ ও কাবিখা প্রকল্পের চাল আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি দুদক তদন্ত করছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিষদ থেকে ২২৮ টি ভিজিডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ভিজিডি’র ৩৯ নং কার্ডধারী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বেতকোনা গ্রামের মাজাদ মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম গত বছরের এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ নিজের বাড়িতে খুন হন। তার মৃত্যুর পর এই কার্ডের নাম পরিবর্তন না করে ইউপি চেয়ারম্যানের যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে কার্ডের বরাদ্দ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। এছাড়াও ৫১ নং কার্ডধারী চুরখাই গ্রামের এক মহিলা ২০১৬ সালের নভেম্বর মাস থেকে এখন পর্যন্ত সৌদী আরবে অবস্থান করছেন। কিন্তু তার নামের চালও নিয়মিত উত্তোলন করা হয়।
এদিকে সরকারি চাল নিয়ে বারবার নানা অভিযোগ উঠায় ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেনের উপর আস্থা হারাচ্ছেন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ। ইউনিয়নের সুনাম নষ্ট করায় এলাকাবাসী তাঁর উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এলাকার কেউ কেউ বলছেন, এভাবে ইউনিয়নের সম্মানহানীর কোনো দরকার পড়ে না। যদি তিনি পরিষদ চালাতে ব্যর্থ হন তাহলে পদত্যাগ করা উচিত।’
এ ব্যপারে জানতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আক্তার হোসেনকে ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
২ নং ওয়ার্ডের সদস্য রইছ মিয়া বলেন, ‘মাজাদ মিয়ার স্ত্রী ৪ সন্তান রেখে মারা যান। তার মৃত্যুর পর চেয়ারম্যান সাহেবকে জানিয়ে আমি কার্ড বদলাতে চাইলে তিনি আমাকে বলেন গরিব মানুষ. ৪টি সন্তান নিয়ে দুঃখে কষ্টে আছে। থাকুক নাম। এর পর থেকে তার স্বামী মাজাদ মিয়া চাল নেয়।’