রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম: সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও নৈরাজ্যবাদের মতো ভ্রান্ত পথ থেকে অজ্ঞ ও সরলমনা যুব সমাজকে ফেরাতে শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। এতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের (বেফাক) উদ্যোগে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঢাকা সদরঘাট থেকে জয়দেবপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ ৪০ কিমি মানববন্ধনের জাতীয় প্রেসক্লাব পয়েন্টে বক্তারা একথা বলেন। মানববন্ধনে নির্ধারিত ৯টি পয়েন্ট সদরঘাট, কাকরাইল মোড়, মালিবাগ, রামপুরা ব্রিজ, নতুনবাজার, কুড়িল বিশ্বরোড, এয়ারপোর্ট ও জয়দেবপুর চৌরাস্তায় দেশের বিভিন্ন স্তরের আলেম-ওলামা-মাশায়েখরা অংশ নেন। এছাড়াও বেফাকের মানববন্ধন কর্মসূচী অনুসরণে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন পালিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে বেফাকের সহ-সভাপতি আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে ইসলামের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ করে তাদের ইহকাল ও পরকাল বরবাদ। এরা ইহুদীবাদী সাম্রাজ্যবাদীদের এজেন্ট। তিনি বলেন, ইসলামের চিন্তা চেতনা বাস্তবায়িত হলে সন্ত্রাসবাদ দূর হবে। তাই শিক্ষার সকল স্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। কারণ দেশ ও মানুষের ক্ষতি হয় এমন কাজ ইসলামের শিক্ষায় শিক্ষিতরা করতে পারেনা।
বেফাকের সহকারী মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক-এর পরিচালনায় ঢাকা মহানগর মূলপয়েন্ট জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী, বেফাক মহাসচিব মাওলানা আব্দুল জাব্বার জাহানাবাদী, জামিয়া মুহাম্মদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম, জামিয়া নূরীয়া কামরাঙ্গীরচর প্রিন্সিপাল মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, মাওলানা আব্দুল লতিফ নেজামী প্রমুখ।
এতে শুধু রাজধানীতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করে। আজকের প্রোগ্রামের মাধ্যমে কওমী অালেম উলামা ও তুলাবাদের একটি শক্তিশালী শোডাউন হয়েছে। পাশাপাশি কওমী মাদারাসা বোর্ড হিসাবে বেফাকের একটি মহড়া বা শক্তি প্রদর্শন হয়েছে। রাজধানির বিশাল এই জনগোষ্ঠী বাদ দিয়ে শিক্ষানীতিসহ কোন নীতি প্রনয়ন করার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই।