সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৬ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স: মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে আরব বসন্ত নামে পরিচিতি পাওয়া গণ-আন্দোলনের ঝড়ের কারণে ২০১১ সালের পর থেকে ওই অঞ্চলের অর্থনীতির ৬১৪ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল কমিশন ফর ওয়েস্টার্ন এশিয়া বলছে, ক্ষতির এই পরিমাণ ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে মধ্যে ওই এলাকার মোট দেশজ উৎপাদনের ৬ শতাংশ। পুলিশের দুর্নীতি ও দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদে মোহাম্মদ বোয়াজিজি নামের এক তরুণের আত্মাহুতির মধ্য দিয়ে ২০১০ সালের ১৮ ডিসেম্বর তিউনিসিয়ায় এ আন্দোলনের সূচনা। পরে তা গণ-অভ্যুত্থানের রূপ পায় এবং ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারি দেশটির প্রেসিডেন্ট জয়নাল আবিদিন বেন আলির ২২ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর পথ ধরে উত্তর আফ্রিকা আর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় দীর্ঘ দিনের শাসকদের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্রের দাবিতে গণ-আন্দোলনের ঝড়, যা আরব বসন্ত নামে পরিচিতি পায়। তুমুল এই আন্দোলনের মুখে তিউনিসিয়ার পর মিশর, লিবিয়া ও ইয়েমেনেও দীর্ঘকালের স্বৈরতান্ত্রিক শাসকের পতন ঘটে। আরব বসন্তের আগে ওই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এবং পরের চার বছরে অর্জিত প্রবৃদ্ধি বিচার করে ক্ষতির এই পরিমাণ হিসাব করেছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। ওই অঞ্চলের যেসব দেশে আন্দোলন হয়নি কিন্তু আরব বসন্তের কারণে শরণার্থী, রেমিটেন্স ও পর্যটনের দিক দিয়ে যেসব দেশকে ভুগতে হয়েছে, তাদের ক্ষতির হিসাবও এর মধ্যে রয়েছে। একই সময়ে সিরিয়ায় শুরু হওয়া সরকারবিরোধী আন্দোলন এখন জটিল এক গৃহযুদ্ধের রূপ পেয়েছে, যেখানে জড়িয়ে গেছে বিভিন্ন পরাশক্তি। জাতিসংঘের হিসাবে, ২০১১ সাল থেকে সিরিয়ার জিডিপি ও মূলধনী ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫০ বিলিয়ন ডলার। ইউএন ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল কমিশন ফর ওয়েস্টার্ন এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব বসন্তের মধ্য দিয়ে যেসব দেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, সে সরকারগুলোও আন্দোলনের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনতে ব্যর্থ হয়েছে। বিবিসি, রয়টার্স।