শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৩:২৯ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম ডেক্স: রাম রহিম তাঁর ভক্তদের কাছে বড়ই শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন। তিনি তাঁর এই শ্রদ্ধার জায়গার চরম অপব্যবহার করেছেন। রায় ঘোষণার সময় সরকারের তদন্ত সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (সিবিআই) বিশেষ বিচারক জগদীপ সিং এই মন্তব্য করেন বলে এনডিটিভি অনলাইনের খবরে জানানো হয়। দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অপরাধে ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংকে গতকাল সোমবার ১০ বছর করে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১৫ লাখ রুপি করে ৩০ লাখ রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। বিচারক যখন রায় ঘোষণা করছিলেন, তখন ফুঁপিয়ে কেঁদে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন রাম রহিম। আদালত বলেন, ‘যে লোকের মধ্যে কোনো মানবতা নেই, দয়ামায়া নেই, তিনি কোনোভাবেই ক্ষমার যোগ্য নন।’
বিচারক বলেন, ‘তাঁর আচরণ ছিল বন্য পশুর মতো…ধর্মীয় সংস্থার শীর্ষস্থানে বসে থেকে তিনি যে ধরনের জঘন্য অপরাধ করেছেন, তা আদিকাল থেকে দেশটিতে চলে আসা ধর্মীয়, পবিত্র, আধ্যাত্মিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভাবমূর্তিকে ধ্বংস করতে বাধ্য।’ বিচারক বলেন, ‘দণ্ডিত ব্যক্তির কর্মকাণ্ড প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
গত শুক্রবার রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত। রোহতক শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের সানোরিয়া কারাগারে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লিতে তাণ্ডব চালান তাঁর ভক্তরা। সহিংসতায় প্রাণ হারান ৩৮ ব্যক্তি। কমপক্ষে ২৫০ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গতকাল ওই কারাগারে অস্থায়ী আদালত পরিচালনা করা হয়। স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে সানোরিয়া কারাগারে উড়ে যান সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক জগদীপ সিংহ।