শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম:
চট্টগ্রামের ওমর গণি এমইএস ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আ.ফ.ম খালিদ হোসেন বলেছেন, মানবতার যথার্থ বিকাশের জন্য দ্বীনি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। কোরআন-হাদিসনির্ভর শিক্ষা মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্বের জন্ম দেয়। আলাহ পাকের ওপর অগাধ বিশ্বাস ও মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শবিবর্জিত মানুষ যতই ধনসম্পদ ও বিদ্যা-বুদ্ধির অধিকারী হোক না কেন সে ঘৃণার পাত্র, সমাজের কলঙ্ক ও আল্লাহর চোখে অপরাধী। বর্তমান বিশ্ব অনেক গিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির এই বিশ্বে সব জায়গায় আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে-আধুনিক ভাবে দ্বীন শিক্ষার প্রচার ও পথপদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে খাদিমপাড়াস্থ হিলভিউ পার্টি সেন্টারে মাদ্রাসাতুল মদিনা সিলেটের উদ্যোগে আধুনিক যুগে দ্বীনি শিক্ষা ও প্রচার পথ-পদ্ধতি শীর্ষক কনফারেন্সে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কনফারেন্সের বিভিন্ন অধিবেশনে সভাপতি করেন মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিন, মাওলানা শায়খ আউলিয়া হোসাইন, মাওলানা জাওয়াদুর রহমান।
মাদ্রাসাতুল মদিনা সিলেটের শিক্ষক মাওলানা হোসাইন আহমদ চৌধুরী পরিচালনায় তিনি আরো বলেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম, শান্তি, সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ধর্ম। পশুসত্তাকে অবদমিত করে মানবসত্তাকে জাগ্রত করার জন্য ইসলামের নির্দেশ রয়েছে। খোদাভীতি, সৎ ও ন্যায় কাজে একে অন্যের সহযোগিতার ফলে সমাজে মানবতা ব্যাপ্তি লাভ করে। মহান আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেন, ‘সৎ কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য করো। পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা কোরো না। আল্লাহকে ভয় করো। নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা’। এ প্রসঙ্গে মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ দেখায় না, আল্লাহ তার প্রতি দয়া-অনুগ্রহ দেখান না।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সম্প্রীতি, নৈতিকতা, মানবিকতাবোধ ও কল্যাণের চরম অবক্ষয় ঘটেছে। গোঁড়ামি, কুসংস্কার, সা¤প্রদায়িকতা, নিপীড়ন, বঞ্চনা, বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে মানবতার মুক্তিবার্তা বহন করতে হবে। আর এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে দ্বীনি শিক্ষা প্রচার করতে হবে।
এ রকম একটি সুন্দর আয়োজন করায় তিনি মাদ্রাসাতুল মদিনা সিলেট কর্তৃপক্ষকে মোবারকবাদ জানান ও আগামীতে দ্বীনি শিক্ষার প্রচারে এরকম অনুষ্ঠান চালু রাখার আশা ব্যক্ত করেন।
কনফারেন্সে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাদরাসাতুল মদিনার শিক্ষা সচিব মুফতি বাহরুল আমিন, কনফারেন্সে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা নুরুল ইসলাম খান সুনামগঞ্জী, মাওলানা শরীফ মোহাম্মদ ঢাকা, মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, শাহ মাওলানা নজরুল ইসলাম, মুসা আল হাফিজ, মাওলানা তাহমিদুল মাওলা, হাফিজ মাওলানা ফখরুজ্জামান, মাওলানা মাহফুজ আহমদ, মুফতি ইকবাল হোসাইন।
অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, মাদরাসাতুল মদিনা সিলেটের মুহতামিম মাওলানা আবুল বাশার, মাওলানা হাবিব আহমদ শিহাব, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা তজ¤মূল আমীন, মাওলানা আবুল কাসিম, মুফতি মোহাম্মদ জাকারিয়্যা খান, মাওলানা সালেহ আহমদ শাহবাগী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।