রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : বগুড়ার গাবতলীতে উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের মোখলেছার রহমানকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গাবতলী থানার এএসআই আব্দুস সবুর ও কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) আরিফুর রহমান মন্ডলকে প্রধান করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) সরফরাজ আহম্মেদ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমিরুল ইসলাম ও গাবতলী মডেল থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন। স্থানীয়রা জানান, নিহত মোখলেছার রহমানের ছোট ভাই আতিয়ার রহমান তার জমি থেকে বাঁশ কাটার ঘটনায় তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাবতলী থানার এএসআই আব্দুস সবুর ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান বৃহস্পতিবার দুপুরে দড়িপাড়া গ্রামে যান। এসময় মোখলেছার রহমান বাড়িতে না থাকায় পুলিশ স্থানীয় গোলাবাড়ি বাজারে তাকে খুঁজতে আসে। সেখানকার লোকজন জানান, মোখলেছার রহমান পার্শ্ববর্তী মড়িয়া গ্রামে কবিরাজী চিকিৎসা করতে গেছেন। পুলিশ মড়িয়া গ্রামে যাওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে ছয় মাইলনামক স্থানে মোখলেছার রহমানকে আটক করে। এরপর মটরসাইকেলে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় মোখলেছার রহমান তার বিরুদ্ধে কি অভিযোগ জানতে চাইলে এএসআই আব্দুস সবুর তার চুল ধরে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে মোখলেছার ধস্তাধস্তি করলে আব্দুস সবুর তাকে লাথি দেয়। এতে মাটিতে পড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মোখলেছার রহমান মারা যান। এদৃশ্য দেখে গ্রামের লোকজন ২ পুলিশকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে গাবতলী থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে লাশ এবং আটকে রাখা দুই পুলিশকে থানায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলে জনগণ বাধা দেয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে হাজার-হাজার নারী পুরুষ পুলিশ দলকে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল এবং গাবতলী মডেল থানার ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। অভিযুক্ত ২ পুলিশের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসে বিক্ষুব্ধ জনতা শান্ত হন।